১১ দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস, বাংলাদেশে সতর্কতা

চীনের করোনাভাইরাস বিশ্বের ১১ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, এবং যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশগুলো। সতর্কতা জারি করা হয়েছে বাংলাদেশেও। 

শনিবার করোনাভাইরাসে দু‘জনের আক্রান্ত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছুদিন আগে চীন ভ্রমণে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে দেশটি।

অস্ট্রেলিয়ায় এই ভাইরাসে ৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গেছে। নেপাল একজন আক্রান্তের খবরটি জানিয়েছে দেশটি। এছাড়া এ ভাইরাসে মালয়েশিয়ায় ৪ জন, সিঙ্গাপুরে ৪ জন, জাপানে ৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ জন, তাইওয়ানে ৩ জন, ভিয়েতনামে ২ জন, থাইল্যান্ডে ৬ জন, কানাডায় ১ জন, ফ্রান্সে ১ জন আক্রান্ত হয়েছে।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পয়েন্টগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা নাগরিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে মেডিকেল টিমগুলো। এছাড়া চীনে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সহায়তায় রাজধানী বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে হটলাইন ও একটি উইচ্যাট গ্রুপ খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

রোববার পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫৬ জন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা। এছাড়া নতুন এ ভাইরাসে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

তবে উহান শহরের হাসপাতালে কর্মরত এক নার্স দাবি করেছেন, উহান শহর ও পুরো চীনজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। এক ভিডিওতে মাস্ক পরে হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ওই নার্স বলেন, করোনাভাইরাসের যেখানে আবির্ভাব আমি সেখানে। আমি এখানে সত্য বলতে এসেছি। দেশটিতে সরকারিভাবে যে সংখ্যা বলা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে আক্রান্তের সংখ্যা আরো কয়েক গুণ বেশি।

নতুন ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শনিবার চীনের নববর্ষের অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে করা এক বিশেষ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশ ‘মারাত্মক পরিস্থিতি’র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।

করোনাভাইরাস ঠেকাতে চীনের উহানসহ ১৪ টি শহর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর চীনের উহান শহরেই প্রথম করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর প্রধান লক্ষণ জ্বর, শুষ্ক কাশি ও শ্বাসকষ্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে খুব গুরুতর মনে না হলেও শেষ পর্যন্ত এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। কারণ এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।

সূত্র- বিবিসি, নিউজটক ডট কম

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)