শীতে শরীর গরম রাখতে যা করবেন

শীত জেঁকে বসেছে সারাদেশে। নিজেকে উষ্ণতায় মুড়ে রাখতে নানা রকম প্রচেষ্টা আমাদের। কেউ কেউ তো কম্বলের ওম ছেড়ে উঠতেই চান না! কিন্তু এভাবে তো সারাক্ষণ থাকা সম্ভব নয়। শীতের জীর্ণতাকে পাশ কাটিয়ে সতেজ থাকতে হবে আমাদেরও। শরীর উষ্ণ থাকলে শীতের জড়তা সহজে কাবু করতে পারবে না। চলুন জেনে নেয়া যাক-

Gorom

শীতের কাপড়

শীতে নিশ্চয়ই সারাদিন ঘরে বসে থাকে যাবে না। বাইরে তো বের হতে হবেই। সেক্ষেত্রে অযথা সাহসিকতা দেখানোর প্রয়োজন নেই। বরং শীত বশ মানে এমন পোশাক পরুন। প্রয়োজনে একাদিক শীতবস্ত্র পড়ুন। চেষ্টা করুন টুপি কিংবা মাফলারে কান ঢেকে রাখতে। এতে শীত অনেকটাই কম লাগবে। ঘরেও উলের মোজা পরে থাকুন। শীত নিবারণের পাশাপাশি পা ফাটার মতো সমস্যা দূর হবে।

Gorom

শরীরচর্চা
অবসর সময়ের সবটুকু অলস কাটিয়ে দেবেন না যেন। কম্বলের ওম ছেড়ে বরং শরীরচর্চায় মন দিন। অলসতা ঝেড়ে ফুরফুরে হয়ে উঠতে শীতে যোগব্যায়াম জাদুর মতো কাজ করে। সঙ্গে শীতটাকেও করে তোলে উপভোগ্য। শীতে অর্ধচন্দ্রাসন, পদ্মাসনসহ বেশকিছু যোগব্যায়াম উপকারি। শীতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটলে আপনি থাকবেন সুস্থ এবং সতেজ।

Gorom

গোসল
শীতের সময়ে অনেকেই ঠান্ডার ভয়ে গোসলের ধারে-কাছেও ঘেঁষতে চান না। অনেকে আবার গরম পানিতে গোসল সেরে নেন। তবে এই সময়ে সতেজ থাকতে প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে গোসল করে নেয়াই ভালো। তাতে আপনি দিনভর সতেজ থাকতে পারবেন। তবে ঠান্ডালাগার ধাত থাকলে হালকা গরম পানিতে গোসল করবেন।

Gorom

শীতের খাবার
শীতকালে আঁশ জাতীয় খাবার বেশি করে খেলে হজম প্রক্রিয়া বিগড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। সেইসঙ্গে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাইরের ঠান্ডা সেভাবে শরীরকে কাবু করতে পারে না। এই সময় প্রতিদিন এক চামচ করে ঘি খাওয়ারও পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। কারণ এই খাবারটি নিয়মিত খেলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে, ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমে এবং শরীর গরম থাকে।

শীতকালে সকালের নাস্তায় রাখুন বাদাম এবং কিশমিশ। কারণ এই ধরনের খাবারগুলো সারাদিন শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, বাদাম এবং কিশমিশ আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।

Gorom

শীতকালে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যায় যারা ভোগেন তারা অবশ্যই ডায়েটে রাখুন তৈলাক্ত মাছ। এইসব মাছে থাকা প্রচুর প্রোটিন ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে যথেষ্ট অ্যামাইনো অ্যাসিড জোগায় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখে।

ডিমে যেমন প্রচুর প্রোটিন থাকে তেমনই থাকে ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, আয়রন যা এই সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জরুরি৷ শীতের ডায়েটে রোজ তাই রাখুন ডিম।

Gorom

গাজর, টমেটো, শালগম, শিম, লাউ, কমলা, কুলসহ শীতের বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম, বিটাক্যারোটিন, আয়রনসহ বিভিন্ন ভিটামিন, যা রোগ প্রতিরোধ করে। শরীর সুস্থ এবং ত্বক সতেজ রাখে। তাই বেশি বেশি শীতের শাকসবজি ও ফলমূল খেতে চেষ্টা করুন। সেই সঙ্গে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)