৯৯৯-এ ফোন করে ঝড় থেকে রক্ষা পেলেন ৩০ শ্রমিক

বরিশালের হিজলা থানাধীন মিয়ারচরের কাছে মেঘনা নদীর শাখা নদীতে নিখোঁজ ৩০ শ্রমিককে উদ্ধার করেছে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের যৌথ উদ্ধারকারী দল। রোববার দুপুর আড়াইার দিকে মেঘনা নদীতে খননকাজে ব্যবহৃত একটি ড্রেজারের ছয়টি পন্টুন নোঙর করা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ের তোড়ে একটি পন্টুন নোঙর ছিঁড়ে ৩০ শ্রমিকসহ নদীতে ভেসে যায়। পরে ৯৯৯-এ প্রাপ্ত তথ্যে পুলিশ ও কোস্টগার্ডের যৌথ উদ্ধারকারী দল পৌনে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাদের উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জাগো নিউজকে বলেন, রোববার (১০ নভেম্বর) ঘড়ির কাটায় তখন বেলা ২টা ৫৮ মিনিট। হঠাৎ ৯৯৯-এ রমজান নামের এক ব্যক্তির কল। ভয়ার্ত কণ্ঠে রমজান জানান, বরিশালের হিজলা থানাধীন মিয়ারচরের কাছে মেঘনা নদীর শাখা নদীতে খননকাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের ছয়টি পন্টুন নোঙর করা ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রবল বাতাসে সৃষ্ট ঢেউয়ের তোড়ে একটি পন্টুন নোঙর ছিঁড়ে আনুমানিক ২৫-৩০ জন শ্রমিকসহ নদীতে ভেসে গেছে।

প্রবল ঘূর্ণি বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড ঢেউয়ে শ্রমিকসহ পন্টুনটি দিগ্বিদিক নদীতে ভাসছে। তিনি ৯৯৯-এর কাছে বিপদগ্রস্ত শ্রমিকদের উদ্ধারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে কলার রমজানকে হিজলা থানার ওসির সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। একই সঙ্গে ৯৯৯-এর পক্ষ থেকে বিষয়টি বরিশাল পুলিশ কন্ট্রোল রুম, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডকে জানানো হয় এবং উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।

এমন সংবাদ পেয়ে দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে হিজলা থানা পুলিশের একটি দল ও নৌপুলিশের একটি দল যৌথভাবে একটি বড় ইঞ্জিনচালিত নৌযানযোগে শ্রমিকদের উদ্ধার করতে রওনা দেয়। ইতোমধ্যে কোস্টগার্ডের একটি দলও শ্রমিকদের উদ্ধারে রওনা দেয়।

উত্তাল নদীর বুকে প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানের পর পুলিশের উদ্ধারকারী যৌথদলটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদীতে ভাসমান পন্টুন থেকে ১৮ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। এরপর কোস্টগার্ড সেখানে পৌঁছে ১২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে। ফলে ৩০ জন শ্রমিকের জীবন রক্ষা পায়। এভাবেই একটি উদ্ধার অভিযানের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)