ডুমুরিয়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাত লন্ডভন্ড করে দিয়েছে গোটা উপজেলা। রাস্তা ঘাট পরিষ্কার করার লক্ষে ডুমুরিয়া থানা নির্বাহী অফিসার ও ডুমুরিয়া ফায়ার সার্ভিস দিনরাত পরিশ্রম করে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করেন।
ডুমুরিয়া খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডুমুরিয়া জোনাল অফিসের (ডিজিএম) মোঃ আব্দুল মতিন বলেন —
বুলবুলের তান্ডবে ডুমুরিয়ার জোনাল অফিসের আওতাধীন প্রায় ১শত ১৩টি খুঁটি ভেঙ্গে পড়েছে ও প্রায় ৫০ টা মত তার ছিঁড়ে গিয়েছে এবং আর্ম নষ্ট হয়েছে৩০টি।
তিনি আরো বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শত শত গাছ তারের উপর পড়ে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগের পর থেকে রাত দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৪টি ইউনিয়নের মানুষের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা নিরলস কাজ করে চলেছি।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ছোবলে ডুমুরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ধান ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে শীতের লৌসুমে উঠতি সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বরাতিয়া অঞ্চলে ফুল কপি মারা গেছে ,পেঁপেঁ গাছ ভেঙ্গে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
গাছ-পালা, কাঁচা-পাকা ঘরের টিন, টালির চাল ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিনের ছাউনি লন্ডভন্ড হয়েছে। অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে মাঠের পাঁকা আমন ধান ও সবজির।শুক্রবার ও শনিবার এই দুই দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে গ্রামের লোকজন ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কালো থাবা থেকে রেহাই পেয়ে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেয়। গভীর রাতে শুরু হওয়া বুলবুলের বিষাক্ত ছোবল থেকে সাধারণ মানুষ রেহাই পেলেও বুলবুলে হাত থেকে রক্ষা পায়নি টালি ও টিনের ঘরবাড়ী।
ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে বরাতিয়া গ্রামের দক্ষিণ-পাড়া বিধান বিশ্বাসের বাড়ির শিশুগাছ ভেঙ্গে পড়ে তার গোয়ালঘর ও রান্নাঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। গাছ-পালা বসতবাড়ির চালের উপর গাছের ডাল ভেঙ্গে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
