ওয়ানডে ক্রিকেট বদলে দিতে শচিনের প্ল্যান

ক্রিকেট মাঠে যেকোনো ফরম্যাটের খেলায়ই টস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে দিবারাত্রির ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে। যেখানে শিশিরের উপদ্রব থাকে অনেক বেশি এবং প্রায়শই টসের সময়ই বোঝা যায় কী হতে যাচ্ছে ম্যাচের চিত্রনাট্য। কেননা শিশিরের কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করা হয় কঠিন এবং ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারে সহজেই। যার ফলে খেলাটা হয়ে পড়ে অনেকটা একপেশে।

এই ‘সমস্যা’ সমাধানে অভিনব এক পরিকল্পনা নিয়ে এসেছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার। তিনি চাইছেন টেস্ট ক্রিকেটের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটটাও হোক দুই ইনিংসে। তবে সেটি দুই ইনিংসে ২০ উইকেট নয়, ১০ উইকেট নিয়েই। শিশিরের প্রভাবসহ ওয়ানডে ক্রিকেটে

তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ৫০ ওভার করে দুই ইনিংসের বদলে, ওয়ানডে ক্রিকেট করা উচিৎ ২৫ ওভারের চার ইনিংসে। তবে এতে কেউই দুইবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাবেন না। বরং প্রথম ২৫ ওভারে যেখানে শেষ হবে ইনিংস, দ্বিতীয় ২৫ ওভারে সেখান থেকেই শুরু করতে হবে। আর কোনো দল যদি প্রথম ২৫ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলে, তাহলে তারা আর দ্বিতীয় ২৫ ওভার খেলার সুযোগ পাবে না।

বশ্য প্রায় ১০ বছর আগে থেকেই নিয়ে ঘুরছেন শচিন। ২০০৯ সালে এটির কথা ভেবেছিলো আইসিসিও। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর বাস্তবায়িত হয়নি। তবু হাল ছাড়েননি শচিন। পুনরায় মনে করিয়ে দিলেন দুই ইনিংসে ওয়ানডে খেলার কথা।

শচিনের ভাষ্যে, ‘পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে এবার একটু নজর দেয়া উচিৎ। আমি আগেও যেমনটা বলেছিলাম, এই ফরম্যাটটা ভেঙে প্রতি দলের জন্য ২৫ ওভার করে দুই ইনিংসের করা উচিৎ। যেখানে প্রতি ইনিংসের মাঝে থাকবে ১৫ মিনিট করে বিরতি। এর ফলে মাঠের খেলায় যে উদ্ভাবনী বিষয়গুলো দেখা যাবে, তা সবার অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে।’

নিজের এ পরিকল্পনা বিস্তারিত বুঝিয়ে শচিন আরও বলেন, ‘ধরুন, ওয়ানডে ক্রিকেট টিম এ ও টিম বি খেলবে। যেখানে টিম এ টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলো। তারা আগে ২৫ ওভার ব্যাট করবে। এরপর টিম বি নামবে ২৫ ওভার ব্যাটিং করতে। এরপর টিম এ প্রথম ২৫ ওভারে যেখানে ছিলো, দ্বিতীয় ২৫ ওভারে সেখান থেকেই শুরু করবে। আর সবশেষ নিজেদের দ্বিতীয় ২৫ ওভারে টিম বি রান তাড়া করে। এক্ষেত্রে টিম এ যদি প্রথম ২৫ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় তাহলে টিম বি রান তাড়া করার জন্য পুরো ৫০ ওভারই পাবে।’

ওয়ানডে ক্রিকেটে শিশিরের প্রভাব দূর করতেই এমন পরিকল্পনা- জানান শচিন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি দুই ইনিংসে খেলেন তাহলে যেকোনো সময় ম্যাচে ফেরার সুযোগ থাকবে। পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে যেদিন শিশির থাকে, সেদিন টস জেতা দল আগে বোলিং করলে, পরে বোলিং করার দলের কোনো সুযোগই থাকবে। কারণ শিশিরের প্রভাবে বল ব্যাটে আসে সোজা এবং লড়াইটা সমান তালে হয় না।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)