সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ ঘোনার সোহাগ বাহিনীর অত্যাচার চরমে

এক সময়ের ক্যাডার বর্তমানে ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী তালার ঘোনা গ্রামের সোহাগ হোসেনের কারণে এলাকার মেয়েরা আতংকিত হয়ে নিরাপত্তাহীনতায়। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে স্থানীয় সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজনও ভীত। কারণ সে যখন তখন তাদের ওপর হামলা করে থাকে।

সেই সোহাগ আমার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় আমাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। আমি এখন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি ।শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ঘোনা গ্রামের শহিদুল গাজি। তার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান স্ত্রী রিনা খাতুন। এ সময় গুরুতর আহত শহিদুল গাজি’ তার শশুর মো: কওসার গাজি, মো: আনোয়ার গাজি, আবদুল হাকিমসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

শহিদুল গাজি বলেন তার স্ত্রীর ওপর কুনজর দেওয়ার প্রতিবাদ করার পর থেকে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ চলছিল। এরই জের ধরে রাজ্জাক খানের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ শহিদুলের পরিবারের বিরুদ্ধে নানা কথা প্রচার করতে থাকে । সে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। শহিদুল বলেন শুক্রবার বিকালে তিনি ঘোনা বাজারের শাহিনুরের মুদি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় সোহাগের নেতৃত্বে আইজুদ্দিনের ছেলে হৃদয় গাজি,সোবহান খাঁর ছেলে জাহিদ খাঁ,মিজানুর খাঁর ছেলে হৃদয় খাঁ, আজিবরের ছেলে আজহারুল,মাজেদ শেখের ছেলে মাসুদ শেখসহ কয়েক সন্ত্রাসী তার ওপর লোহার রড, দা , কুড়াল নিয়ে হামলা করে।

তাকে তারা পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে লোকজন এসে শহিদুলকে উদ্ধার করেন। সোহাগসহ সন্ত্রাসীরা এ সময় হুমকি দিয়ে বলে এবার পেলে তোকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। সোহাগ বাহিনী এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা পুনন বাবুকেও হত্যার হুমকি দেয়। আহত শহিদুলকে প্রথমে তালা হাসপাতালে ও পরে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শহিদুল বলেন সোহাগ এ এলাকার মুকুল কর্মকার, সফিকুল শেখ, আরিজ খাঁ, হাসিনা বেগম, সাহেব সরদার, রুবেল খাঁ, মীর হালিম ও নাজমুলসহ অনেককেই বিভিন্ন সময়ে মারপিট করেছে।

সে নানা ধরনের অপকর্মের সাথে জড়িত। এলাকার কিছু উঠতি ছেলেদের নিয়ে সে মাস্তানি ও চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।
শহিদুল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি এর প্রতিকার চেয়ে তালা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। পরে মামলা করা হবে। তিনি সন্ত্রাসী সোহাগ ও তার সহযোগী ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)