ব্রণ: চিকিৎসা ও প্রতিকার

ব্রণ অতিপরিচিত একটি চর্মরোগ, যা অধিকাংশ মানুষের জীবনে কোনো না কোনো সময়ে ত্বকে কম-বেশি হয়ে হয়ে থাকে। ব্রণ বা পিম্পলস বা একিন ভালগারিজ দীর্ঘমেয়াদি দাগ ও উৎপাদনকারী ত্বকের সমস্যা, যা হালকা থেকে গাঢ় হয়ে থাকে এবং মুখমণ্ডলসহ পিঠ, কাঁধ ও বুকের ত্বকেও দেখা দিতে পারে। ব্রণ সাধারণত ১১ বছরের পর এবং ৩০ বছরের আগে বেশি দেখা যায়। তবে ৩০ বছরের পরও মাঝে মাঝে ত্বকে ব্রণ হয়, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম।

তবে ব্রণ ভালো হয়ে যাওয়ার পর ব্রণের দাগ বা গর্ত বা যে ক্ষত তৈরি হয়, তা সৌন্দর্যকে ব্যাহত করে, যা নিয়ে অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কিন্তু এই মানসিক চিন্তা ব্রণের সমস্যাকে আরো জটিল করে তোলে। তাই যখন ব্রণ হবে, তা নিয়ে চিন্তা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আজকাল ব্রণের অনেক ধরনের ভালো চিকিত্সা রয়েছে। পাশাপাশি লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে ব্রণের দাগ বা ক্ষত অনেক অংশই নিরাময় করা সম্ভব। যাদের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক, তাদের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই ওয়েল কন্ট্রল সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে সব সময় মুখ পরিষ্কার করতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান, নিয়মিত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ধূমপান ত্যাগ করা, ভালো মানের প্রসাধনী ব্যবহার করা, নিয়মিত জীবন যাপনের মাধ্যমে ব্রণের সমস্যা থেকে ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব।

লেখক: ত্বক, লেজার অ্যান্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)