সাতক্ষীরার ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন

জাকজমকপুর্ণভাবে সাতক্ষীরার ৩শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুরের মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ আয়োজনে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “গুড়পুকুরের মেলা এ জেলার ঐতিহ্য বহন করে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর এ মেলার উদ্দেশ্যে তারা ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসে। প্রাচীনতম এ মেলাটির গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা দেখেছি শহর জুড়ে এ মেলাটি হতো। কিন্তু মেলাটি বর্তমান সময়ে স্বল্প পরিসরে একটি নির্ধারিত স্থানে হচ্ছে। এটাকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে মেলাটির প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য শহর ব্যাপী মেলার এ আয়োজন করতে হবে। দুর দূরান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ী ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মাধ্যমে প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরে পাবে। আগামীতে পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে শহর জুড়ে গুড়পুকুরের মেলার আয়োজন করতে হবে।’ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল, জেলা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুতমিশ, সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, প্রচার সম্পাদক শেখ নুরুল হক, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. আব্দুস সেলিম, পৌর কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান, পৌর কাউন্সিলর শেখ শফিক উদ- দৌল্লা সাগর, শাহিনুর রহমান শাহিন, মহিলা কাউন্সিলর জ্যোৎস্না আরা, ফারহা দিবা খান সাথী, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, শেখ আব্দুস সেলিম, শফিকুল আলম বাবু, মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান ও মেলার দোকানদারের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক শিকদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মেলা উপলক্ষে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের পুরো জায়গা জুড়ে থাকছে প্রায় ২০০টি মনোহরি পণ্যের স্টল। তবে মেলায় জুয়া, হাউজি, লটারি, র‌্যাফেল ড্র, লাকিকূপন, ফড়, চরকি, নগ্ন নৃত্য এবং অননুমোদিত যাত্রাগান, পুতুল নাচ বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মেলা চলবে ১৫ দিন ব্যাপী। তবে এবারের মেলায়ও থাকছে না সার্কাসের আয়োজন। মেলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দানে তৎপর রয়েছে। চাঁদাবাজি ও জুঁয়া বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগেই নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গোটা সাতক্ষীরা থাকবে নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)