দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির কার্যকর উপায়

কোনো বিষয় নিয়ে ভাবা আর অতি চিন্তা করা এক নয়। আচ্ছা, অতি চিন্তা করা কি খারাপ কিছু? চিন্তা করা তো ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত যে কোনো জিনিসই খারাপ। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত চিন্তাও অনেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। বিশ্লেষণ ক্ষমতা কমে যাওয়া, নিজেকে গুটিয়ে ফেলা, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে আপনার পুরো জীবনটাই না–বোধক হয়ে যেতে পারে অতি চিন্তার কারণে। তাই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে এখন থেকেই-

যেসব কারণে মাথায় অতি চিন্তা আসতে পারে-

* কেউ আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে কিংবা কারো সঙ্গে মনোমালিন্য হলে মনে ঢুকে যায় অতি চিন্তা।

* কোনো তর্কে হেরে গেলেই অতি চিন্তা শুরু হয়। ভাবেন, কী বললে আপনি জিততেন।

* আতঙ্কে থাকেন, পরিস্থিতি বোধহয় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

* কারো প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে পরবর্তীতে সেটা নিয়েও চিন্তায় পড়তে হয়।

* ‘অসুস্থ’ প্রতিযোগীতায় যুক্ত হলে চিন্তা বাড়ে।

* জীবনে ঘটে যাওয়া ভুল পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা।

সবার আগে সময়ের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত

সবার আগে সময়ের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত

যেভাবে চিন্তামুক্ত হওয়া সম্ভব

* অতিরিক্ত চিন্তার সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার আগে, নিজেকে প্রশ্ন করুন- কেন চিন্তা করছেন, কী নিয়ে চিন্তা করছেন? সেই চিন্তা ঠিক কতখানি গুরুত্ব বহন করে! ঠিক সেই মূহুর্তে সচেতনতাই আপনার পরিবর্তনের বীজ হিসেবে কাজ করবে।

* সবসময় সমস্যার কথা না ভেবে সমাধানের রাস্তা খুঁজুন। তাহলে সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি আপনিও চিন্তামুক্ত থাকবেন।

* অনেক সময় নিজের ভালো লাগা, পছন্দের কাজগুলো করতে পারা খুব কাজে দেয়। এমন কিছু যেটা আপনি অনেকদিন থেকে করতে চাচ্ছেন কিন্তু কোনো কারণে করা হয়ে ওঠেনি, সেটা এবার করে ফেলুন। তাহলে চিন্তা অন্তত মনে আসবে না!

* চিন্তা করা অবশ্যই ভালো, কিন্তু অতিরিক্ত নয়। যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে তাকে নিয়ে ভেবে কী করবেন! এটাই মাথায় রাখুন সমসময়।

* কেউই নিজের বা অন্যের ভবিষ্যৎ বলতে পারে না। আপনি যখন নিজের বর্তমানের মূহুর্তগুলোয় ভবিষ্যতে কী হবে, না হবে এইসব নিয়ে চিন্তা করছেন তার মানে তখন আপনি নিজেই নিজের জন্য বরাদ্দ সময়গুলো নষ্ট করছেন।

* মনকে চিন্তামুক্ত রাখতে ধ্যান করতে পারেন। নিয়মিত ৩০ মিনিট ধ্যান করলে মনকে বশে রাখতে পারবেন সহজেই।

* একই সময়ে কেউ সুখী ও দুঃখী উভয়ই হতে পারে না। তাই সবার আগে সময়ের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই একটা তালিকা করে ফেলুন আপনি কী কারণে এবং কাদের কাছে কৃতজ্ঞ। এরপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)