সাতক্ষীরা জেলায় আজ পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে

সাতক্ষীরাসহ সারা দেশে আজ সোমবার উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। দেশের মুসলিম সম্প্রদায় মহান আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব উদ্যাপন করছে।

সকালে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। নামাজের খুতবায় কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরে বয়ান করা হয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিবনির্বিশেষে একত্রে নামাজ আদায় করেন। এরপর কোলাকুলির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর শুরু হয় পশু কোরবানি। কোরবানির পরে সারা দিন ধরে মাংস বিতরণ চলবে দরিদ্র ও দুস্থদের মধ্যে।

জেলায় পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে আটটায় মুনজিতপুরস্থ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন এই জামাতের আয়োজন করেছে। এখানে শতশত মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। শহরের কামালনগর ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭টা ও ৮ টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বাকাল ঈদগাহ ময়দান, কুখরালী ঈদগাহ ময়দান, ওয়াপদা ঈদগাহ ময়দান, স্টেডিয়াম, পলাশপোল জামে মসজিদ, গুড়পুকুর, বাসটার্মিনাল আমিনিয়া জামে মসজিদ, মধুমোল্লারডাঙ্গি জামে মসজিদ, রসুলপুর হাইস্কুল ময়দান, ইটাগাছা আয়েন উদ্দিন মহিলা মাদ্রাসা, শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক, সুলতানপুর, কাটিয়া, মিলবাজার ঈদগাহসহ বিভিন্নস্থানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ ঈদগাহে নামাজ আদায় করেছেন।

নামাজ শেষে অনেকেই যান কবরস্থানে স্বজনের কবর জিয়ারত করতে। চিরকালের জন্য চলে যাওয়া স্বজনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন তাঁরা। বাড়ি ফিরে আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে পশু কোরবানি করা হয়।প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) নিজের ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বার কোরবানি হয়ে যায়। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ লাভের জন্য পশু কোরবানি করে থাকেন। আর তার নির্দিষ্ট ভাগ বিতরণ করা হয় দরিদ্রদের মধ্যে।

আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য পশু কোরবানি করাই উত্তম ইবাদত বলে ধর্মীয়ভাবে বলা হয়েছে। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হলেও পরের দুই দিন, অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও পশু কোরবানি করার বিধান আছে।

কোরবানি ঈদের আনন্দ বেশি দরিদ্র-দুস্থদের জন্য। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির সমুদয় অর্থ এবং কোরবানি দেওয়া পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ তাদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)