মশা কাছে আসবে যে নিয়মগুলো মানলে

দৈনন্দিন বেড়েই চলেছে মশার প্রকোপ। প্রায় সবাই অতীষ্ট মশার জ্বালায়। সঙ্গে বেড়েছে ভয়ানক ডেঙ্গুর প্রতাপ। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ফলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা গড়ে উঠছে সবার মাঝে। মশা যেন বংশবিস্তার না করতে পারে এজন্য সবার সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও কিন্তু ফাঁক থেকেই যায়। নিজের বাড়িঘরকে না হয় মশামুক্ত করলেন, কিন্তু বাইরে যেখানেই যান না কেন সেখানেও কি বাড়ির মতো নিরাপদে থাকা যাবে?

ক্লাসে, অফিসে কিংবা বেড়াতে গেলে, অথবা সন্তানকে স্কুলে পাঠিয়ে কতটুকু নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন মশার আতঙ্ক থেকে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বাড়িঘর ও চারপাশকে মশামুক্ত করার মতো নিজেকেও মশা থেকে দূরে রাখতে, কিছু  অতি জরুরী ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এমন কয়েকটি সহজ নিয়ম জেনে রাখুন-

মশা দূরে রাখার ক্রিম

মসকুইটো রিপ্যালেন্ট ক্রিম পাওয়া যাবে যেকোনো ওষুধের দোকানেই। আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত মশা দূরে রাখার ক্রিম হলো ওডোমস। ১২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার মাঝে বিভিন্ন ধরনের ওডোমস পাওয়া যাবে। ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে ফাটা ত্বকে এই ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না এবং প্রয়োজন না হলে ক্রিম ব্যবহারের পর ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ল্যাভেন্ডার বডি অয়েল ও স্প্রে

ল্যাভেন্ডারের সুঘ্রাণ আপনার যতই প্রিয় হোক না কেন, মশা একেবারেই সহ্য করতে পারে না। এই এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারে খুব সুন্দর বডি স্প্রেও তৈরি করে নেওয়া যাবে। কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম যদি ত্বকে সমস্যা তৈরি করে, তবে ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার হবে সবচেয়ে ভালো উপায়।

পুদিনা পাতা অথবা রসুন ব্যবহার

পুদিনা পাতার মিষ্টি গন্ধ কিংবা রসুন ঝাঁঝালো গন্ধ- কোনটাই মশা সহ্য করতে পারে না। মশা দূরে রাখার ক্রিম কিংবা ল্যাভেন্ডার ওয়েল হাতের কাছে না থাকলে এই প্রাকৃতিক উপাদান দুইটি ব্যবহারেই ভরসা। শরীরের উন্মুক্ত স্থানে কয়েকটি পুদিনা পাতা চটকে অথবা রসুন রস অল্প পরিমাণে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। এতেই দূরে থাকবে মশা।

পোশাক নির্বাচনে সতর্কতা

একটা ভুল ধারণা রয়েছে আমাদের মাঝে। শরীরের যত বেশি অংশ ঢেকে রাখা যাবে তত বেশি মশা দূরে থাকবে, এই ভাবনা থেকে টাইট ফিটিং পোশাক পরা হয় সবচেয়ে বেশি। অথচ টাইট ফিটিং পোশাক পরার দরুন মশার জন্য কামড়ানো বরং সুবিধা হয়। সেক্ষেত্রে ত্বক ঢেকে রাখার জন্য ঢোলা ঘরানার পোশাক পড়তে হবে। একইসাথে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যথাসম্ভব গাড় পোশাক এড়িয়ে হালকা রঙয়ের পোশাক নির্বাচনের বিষয়ে। গাড় রঙ মশাকে আকৃষ্ট করে বেশি।

সুগন্ধির ব্যবহার

বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পারফিউম বা সুগন্ধির ব্যবহার মশাকে দূরে রাখতে কার্যকরি। সেক্ষেত্রে সুগন্ধিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত উপাদান মসকুইটো রিপ্যালেন্ট হিসেবে কাজ করে।

লেবুর শরবত পান

খেয়াল করে দেখবেন, মশা লেবুর গন্ধ একেবারেই সহ্য করতে পারে না। লেবুর সাইট্রিক ধর্ম মশাকে দূরে রাখতে কাজ করে। সেক্ষেত্রে লেবু সবসময় সাথে নিয়ে ঘোরা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই সাথে বোতল ভর্তি লেবুর রস মিশ্রিত পানি বা লেবুর শরবত রাখুন। প্রতি ঘন্টায় কয়েক চুমুক লেবুর শরবত পান মশাকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)