সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাটের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

আবহাওয়া অনুকূল আর সার সঙ্কট না থাকার ফলে সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার খোরদোয় এবছর সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পাটের বাজার দাম ভাল হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এবছর কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে পাটের চাষাবাদ ভাল হয়েছে বলে কৃষকরা জানিয়েছে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর যথাসময়ে খড়া, ভালো বৃষ্টিপাত, ভালবীজের সহজলোভ্যতা এবং সারের সঙ্কট না থাকার কারণে লক্ষমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন গ্রামে পাটের আঁশ ছাড়ানোর জন্য কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে। গত বছরের তুলনায় এবছর দিগুণ ফলন হয়েছে। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত সর্বশেষ বন্যার পানি কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামে বিভিন্ন খাল-বিল ও কপোতাক্ষ নদীতে প্রবেশ করায় পাট জাগে বাড়তি সুবিধা পাওয়া গেছে।

কলারোয়া উপজেলার খোরদো গ্রামের পাটচাষী হাফিজুর সাংবাদিকদের জানান, তিনি এবছর ১ বিঘা জমিতে পাট রোপণ করেছিলেন। ফলন ভাল হয়েছে। রোগবালাই মুক্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। একই কথা জানালেন-পাটুলিয়া গ্রামের চাষী রফিকুল ইসলাম। তিনি পাটের ন্যায্য মূল্য আরও বৃদ্ধির দাবী জানিয়ে বলেন, এক সময় উপজেলার সিংহভাগ কৃষক পাট চাষ করত। এখনও পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ আছে। তাই ন্যায্য মূল্য পেলে অনেকেই পাট চাষের দিকে ঝুঁকবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় কলারোয়া উপজেলায় পাটের চাষাবাদ কমে গিয়েছিলো। তবে পাটের বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায় হওয়ায় এ উপজেলায় ধীরে ধীরে পাটের চাষাবাদ বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার পাটুলিয়া, কাশিয়াডাঙ্গা, খোরদো, দলুইপুর, দেয়াড়া গ্রামে সবচেয়ে বেশি পাটের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। কপোতাক্ষ তীরবর্তী দেয়াড়া ইউনিয়নেও পাটের বাম্পার ফলন লক্ষ করা গেছে। কলারোয়া পৌর এলাকার কিছু কিছু জায়গায় পাটের চাষাবাদ করতে দেখা গেছে। এ বছর পাটের প্রতিমণ ১৮০০ থেকে ১৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বছর পাটের বাজার দর ভাল হওয়ায় আগামী বছরে কৃষকরা আরও বেশি পাট চাষে ঝুঁকবেন বলে আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মহাসীন আলী।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)