বড়দলে বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারী পণ্য ‘কনডম’ উদ্ধার

আশাশুনি উপজেলায় মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ও মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে জব্দকৃত মালামাল ছিনিয়ে নেওয়া, কর্মকর্তাদের অসম্মান করা ও ইউএনও মহোদয়ের নোটিশ অমান্য করে মালামাল

ফেরৎ না দেওয়ার ঘটনা এলাকায় আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাড়িয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর জি এম গোলাম মোস্তফা তার সহযোগি মোক্তারুজ্জামান স্বপনকে নিয়ে বড়দল বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়

অন্য দোকানের পাশাপাশি পঞ্চানন রায়ের পঞ্চানন স্টোরে অভিযান চালিয়ে সরকারী ভাবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মাধ্যমে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য সরবরাহকৃত ২ প্যাকেট অর্থাৎ ২৪ পিচ ‘কনডম’সহ বিভিন্ন নিষিদ্ধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ মালামাল জব্দ

করা হয়। এসময় দোকান মালিক মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে কর্মকর্তাকে অসম্মান জনক কথাবার্ত বলেন। পরবর্তীতে দোকানীর পুত্র ঘটনাস্থানে পৌছে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা প্রার্থনা করে মালামাল ফেরৎ দেন। দোকানে বিক্রয়ের জন্য কনডম

রাখার ঘটনা নতুন করে ভাবনার কারণ হয়ে উঠেছে। সরকারি ভাবে বিতরণের (বিক্রয় নিষিদ্ধ) পণ্য উক্ত দোকানী কার থেকে কিভাবে পেয়ে বিক্রয় করে আসছেন এটি খতিয়ে দেখার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী জোর দাবি

জানিয়েছেন।এদিকে গত ১০ জুলাই বদরতলা বাজারের হালিমা স্টোরে বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ও মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত কনফিডেন্স ও মুস্কান লবণ, রাধুনীর গুড়া ধনিয়া ও জিরা, টেস্টি ধনিয়ার গুড়া, পুষ্টি আটা ও

সরিষার তেল, মধুমতি লবণসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দ তালিকা করার পর দোকান মালিক বজলুর রহমানের পুত্র কামরুল ইসলাম কর্মকর্তা ও তার সহযোগিদের উপর চড়াও হয়ে জব্দকৃত মালামাল ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় বাজার

এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। চরম ভাবে আইন অমান্য করা এবং আদালতের নির্দেশ ও সরকারের আদেশ বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি মানুষকে আইন অমান্য করতে উৎসাহিত করার মত জঘন্য ঘটনায় দায়িত্বরত

কর্মকর্তাসহ তার সঙ্গীসাথীগণ কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে ইউএনও ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজার নির্দেশে দোকানীকে জব্দকৃত মালামাল নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে

১২ টার মধ্যে ইউএনও মহোদয়ের কার্যালয়ে হাজির হতে মৌখিক নোটিশ করা হয়। কিন্তু দোকানী একের পর খামখেয়ালীপনার আশ্রয় নিয়ে নিয়ম ভঙ্গের উৎসব চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার তাকে মালামাল নিয়ে আসার পুনঃ নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি

আসেননি। বরং তিনি নিজে ও বিভিন্ন মাধ্যমে জব্দকারী কর্মকর্তাকে ফোনের মাধ্যমে নানান কথা বলে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা চালাচ্ছেন বলে সেনেটারী ইন্সপেক্টরের অফিস সূত্রে জানা গেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)