টাকা দিয়ে মেডিকেল রিপোর্টে সই করাতে হয় :সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালের শাহাজান(ভিডিওসহ)

টাকা ছাড়া লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেয়না সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের রিসিপসনিস্ট শাহাজান আলীর প্রকাশ্য ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও দৈনিক সাতক্ষীরা অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হলেও অজানা কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি কর্তৃপক্ষ।

সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। ভিডিও চিত্রের মধ্যে শাহাজান উল্লেখ করেছেন সে ময়না তদন্তের ও সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ সংশোধনের মেডিকেল রিপোর্টের জন্য যে টাকা নেয়।তার একটা বড় অংশ যায় সিভিল সার্জন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পকেটে। টাকা না দিলে তারা ওই ময়না তদন্ত ও সঠিক জন্ম তারিখের মেডিকেল রিপোর্টে সই করেননা ।

তাছাড়া সে নিজেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন রফিকুল ইসলামের খুব কাছের মানুষ বলে জাহির করেন। এবং সে সব রিপোর্টে সই করার পরে সিভিল সার্জন সেটাতে সই করেন বলে ভিডিওতে উল্লেখ করেন। এছাড়া ৩ হাজার টাকা একটা রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নিলে তার থাকে মাত্র ৫’শ টাকা। আর বাকী দিতে হয় সিভিল সার্জন ও মেডিকেল অফিসারকে।

https://www.facebook.com/1097067257079185/videos/1261343130704755/

এখানে শেষ নয় তাকে অজানা কারণে একবার পুলিশে আটক করে। কিন্তু সিভিল সার্জন তৎকালীন সাতক্ষীরা সদর সার্কেল মেরিনা আক্তারকে ফোন করে বলেন।হাসপাতালে তদন্ত করার জন্য তিনি পুলিশ পাঠিয়েছেন আর তার লোককে ধরা হয়েছে। যাকে ধরা হয়েছে সে তার নিজের লোক। তাকে যে স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে সসম্মানে পুলিশ যেন সে স্থানে রেখে আসে। সিভিল সার্জনের কথামত তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ এমনটাই তিনি ভিডিওতে বলেছেন। ভিডিওতে যে ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিতে দেখা গেছে সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে আশিক হাসান। তার কাছ থেকে জন্ম তারিখ সংশোধনের মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ৩ হাজার টাকা নিয়ে ভিডিওতে ধরা পরেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন বলেন টাকা ছাড়া সিভিল সার্জন অফিসে কোন মেডিকেল সার্টিফিকেট মেলেনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত একজন বলেন, প্রতিদিন মেডিকেল সার্টিফিকেটের বিনিময় কয়েক হাজার টাকা অবৈধ রোজগার করে শাহাজান।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের রিসিপসনিস্ট শাহাজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মেডিকেল সার্টিফিকেট বাবদ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। অবৈধ ভাবে টাকা নিয়ে তিনি ভুল করেছেন আর কখনো কারও কাছ থেকে টাকা নিবেনা প্রতিজ্ঞা করে ওই প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য হাত ধরে অনুরোধ করেন।

মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য অবৈধ টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন রফিকুল ইসলাম বলেন,তিনি আগে কখনো শোনেননি শাহাজান মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য কারও কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তাছাড়া তার কাছে কেউ মৌখিক কিংবা লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এছাড়া তিনি বলেন এমন ধনী লোক কারা আছে ময়না তদন্তের মেডিকেল রিপোর্টের জন্য ৩-৫ হাজার টাকা দেয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ভিডিও সহ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তিনি শুনেছেন কিন্তু দেখেননি ওই টাকা কারও কাছে পাওনা ছিল সে টাকা ফেরত দিচ্ছে এমনটা ও তো হতে পারে? বলে তিনি প্রশ্ন করেন। তবে তিনি বলেন যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তারা যদি তার সামনে এসে বলত তাহলে শাহাজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সুবিধা হত।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)