ভেড়ি বাঁধ না দিয়ে লোনা পানি প্রবেশ করে বসত ভিটার গাছ গাছালী ও ফসল নষ্ট করছে মেম্বরের ভাই

কোন প্রকারের ভেড়ি বাঁধ না দিয়েই লোনা পানি প্রবেশ করে গাছ গাছালি ও ফসল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে কালিগঞ্জ থানার মথুরেশপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর  ওর্য়াডের মেম্বর মনিরুজ্জামান (মোনোর) ভাই সোহরাফ এর বিরুদ্ধে।

 সরজমিনে দেখা যায় কালিগঞ্জ থানার মথুরেশপুর ইউনিয়নের উজয়মারী গ্রামের মৃত.রহিম আলীর পুত্র, মোঃ সাহামত আলী (খোকন মিস্ত্রী) এর বসত ভিটার দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশ দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে ভেড়ি বাঁধ ছাড়ায় খোকন মিস্ত্রীর বসত ভিটার গাঁ ঘেঁষে ঘের করে চলেছে একই গ্রামের ইয়াকুব আলীর পুত্র সোহরাফ হোসেন।

এবিষয়ে খোকন মিস্ত্রী অভিযোগ করে বলেন,সোহরাফ এখানে গত ৫ বছর ধরে ঘের করে আসছে এবং প্রথমে সে এখানে ভেড়ি বাঁধ দিয়ে ঘের করতো কিন্তু তার ভাই মেম্বর হওয়ার পর থেকে সে কোন প্রকার সাপোট ছাড়ায়, গায়ের বলে আমার ক্ষতি করে ঘের করছে,এতে আমার বসত ভিটার মাটি ধ্বসে পড়ে যাচ্ছে তার ঘেরে, গাছ গুলা হেলে পড়ছে এবং লোনা পানির কারনে আমার ভিটার উপরে লাগানো ফসল হচ্ছে না ঠিক
মতো।
খোকন মিস্ত্রী আরো বলেন, আমি এবিষয়ে তার ভাই মেম্বর মনিরুজ্জামান (মোনোর) কাছে একাধিক বার বলেছি কিন্তু তিনি বিষয় টি দেখার কথা বলে, কিন্তু তার আজো কোন সমাধান না করাতে, আমি বাধ্য হয়ে গত ইং ২৮-০৫-২০১৯ তারিখে,৯নং মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (মিজান) এর বরাবর,একটি লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের ভিত্তিতে তার নামে গ্রাম্য আদালতে মামলা হয়,মামলা নং-৩৩/১৯ এবং চেয়ারম্যান সরজমিনে তদন্ত করে এর নিষ্পত্তি করবে বলে

 দিন ধার্য করেন গত- ইং- ০২-০৭-২০১৯ তারিখে,কিন্তু চেয়ারম্যান তার ধার্য করা দিনে না আসলে আমরা একাধিক বার ফোন করি কিন্তু তিনি কাজের বাহানায় আমাদের বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ভেড়ি বাঁধ নাদিয়ে ঘের করা সম্পর্কে জানতে চাইলে  অভিযুক্ত সোহরাফ এর ফোন(০১৯৩৫-০২৪৫১০)  বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এখনো এই অভিযোগের সমাধান না হওয়া সম্পর্কে, ৯নং মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (মিজান) এর কাছে (০১৭৩০-৯৮৬৯২৩) জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষটির তদন্ত ভার মেম্বর এর কাছে দিয়েছি তিনি এটার সমাধান করবেন বলে জানান চেয়ারম্যান।

এবিষয়ে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর মনিরুজ্জামান এর কাছে (০১৭৩২-৩৭৮৬১৮) জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাকে চেয়ারম্যান বলেছে আমি বিষয়টা দেখেছি এবং ঘের মালিক সোহরাফকে ভেড়ি বাঁধ দিতে বলেছি, সোহরাফ ঘেরের পানি কমিয়ে দিয়েছে এবং দুই

তিন দিনের ভিতরে বড়ো করে ভেড়ি বাঁধ দিবে বলেছে যদি সে ভেড়ি বাঁধ না দেয় তাহলে চেয়ারম্যান সাহেব এর সাথে বসে অতিদ্রুত এটির সমাধান করবে বলে জানান মেম্বর।
Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)