ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কারের পথে বিজ্ঞানীরা

সারা বিশ্বে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় ক্যান্সারে। ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। কিন্তু তার জন্য রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা খুবই জরুরি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তৃতীয় বা চতুর্থ পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ক্যান্সারের চিকিত্সা বা মোকাবিলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

তবে ক্যান্সার প্রতিরোধে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞান। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টায় অবিরাম গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এ বার তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হল কুকুরের ওপর।

বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এই পরীক্ষা সফল হলে তা কার্যকর হতে পারে মানুষের শরীরেও।

দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার পর এক দল মার্কিন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছেন ক্যান্সারের প্রতিষেধক যা কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ছাড়াই শরীরে ক্যান্সারের কোষের বাড়-বৃদ্ধি বন্ধ করতে সক্ষম।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অবস্থিত ‘বায়ো ডিজাইন ইনস্টিটিউট’-এর একদল বিজ্ঞানী নিলেন ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রথম পদক্ষেপ। পরীক্ষার জন্য তাদের অভিভাবকদের অনুমতি নিয়ে ৮০০টি কুকুর বেছে নেয়া হয়। প্রাথমিক নানা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ৮০০টি কুকুরকে ক্যান্সারের টিকা দেয়া হয়। এর পর এদেরকে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হবে।

বায়ো ডিজাইন ইনস্টিটিউট এর গবেষক স্টিফেন জনস্টন ও ডুগ থ্যাম বলেন, কুকুর আর মানুষের শরীরের প্রকৃতি অনেকটা এক। কুকুরের খাবার, ওষুধপত্র সবই প্রায় একই ধরনের।

একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মানুষ আর কুকুরের শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার ধরণও প্রায় একই রকম। তাই কুকুরের শরীরে যদি এই প্রতিষেধক কাজ করে, তাহলে মানুষের শরীরেও ক্যান্সারের কোষের বাড়-বৃদ্ধি ঠেকাতে সক্ষম হবে এটি।

এখন এই প্রতিষেধকের সাফল্যের দিকে তাকিয়ে বিজ্ঞানী থেকে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। কারণ, এই টিকার প্রয়োগ সফল হলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)