সরকারি বই বিক্রি করে দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন

কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা বাজারে সরকারি সাড়ে ৩ টন বই বিক্রি করার সময় নুরুজ্জামানের নামের এক ভাংড়ী ব্যবসায়ীকে আটক করে স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে।

স্থানীয় রুহুল আমিন,শেখ লাভলু ও ফয়সাল হোসেন বিদ্যুৎ সহ অনেকে বলেন, রাত ৮ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার ভাংড়ি ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান মৌতলা বাসষ্টান্ডে অবস্থিত বিশ্বজিতের ভাংড়ি দোকানে প্রায় সাড়ে ৩ টনের মত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ-১০ম শ্রেণির ২০১৯ ও ২০১৬ সালের বই বিক্রি করতে আসে। ওই বই দেখে স্থানীয় অনেকের সন্দেহ হলে ভ্যান ও বইসহ ব্যবসায়ীকে আটক করে।

পরবর্তীতে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরকারি বই কোথায় পেয়েছে জানতে চাইলে ভাংড়ি ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান বলেন শ্যামনগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কিনেছে। সংবাদ পেয়ে শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এবিষয়ে জানতে মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাংড়ি ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান বই বিক্রি করার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। ওই ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে সে জানায় বই গুলি শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তার কাছ থেকে কিনেছে। তবে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন মৌতলা ইউনিয়ন পরিষদে এসে বই গুলি পরিদর্শন করে গেছেন। ওই ব্যান্ডেলের ভিতরে ২০১৪ সাল থেকে-২০১৯ সালের বই আছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

শ্যামনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন,নিয়ম অনুযায়ী সরকারি পুরাতন বই বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু ওই সময় ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের কাছে কাগজ পাত্র না থাকার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে কাগজ পত্র দেখিয়ে বই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বই গুলি নিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন ৩ পিস ৬ষ্ঠ শ্রেণির ২০১৯ সালের বই ভুলে চলে গিয়েছিল।

এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, গত কয়েক দিন আগের একটি সভায় ২০১৫ সালের আগের পুরাতন বই বিক্রির বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের বই বিক্রি করেছে এবিষয় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বুঝবে সেটা তার ব্যাপার।

এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আতাউল হক দোলন জানান, তিনি নিজে ঘটনাস্থলে যেয়ে বই গুলি পরিদর্শন করেছেন। তিনি যেয়ে দেখেন সেখানে ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত বই বিক্রি করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বিক্রি করেছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)