যুদ্ধাপরাধের আসামি ফেনীর নূর গ্রেপ্তার নীলফামারীতে
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে জেলা শহরের বড়বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নীলফামারী গোয়েন্দ (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক আফজালুল ইসলাম জানান।
নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহাম্মদ (৭৩) ফেনী সদর উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত সেকেন্দার সুফী ওরফে সুফী শেখের ছেলে।
তিনি বলেন, “সকালে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমাদের হাতে এসে পৌঁছে। বেলা ৩টার দিকে বড়বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি জানান, নূর মোহাম্মদ ১৯৭৪ সালে নীলফামারীতে এসে জেলা শহরে সওদাগরপাড়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। নীলফামারী শহরের বড়বাজারে মেসার্স মোর্শেদ কসমেটিক নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের ১০ অগাস্ট রাত ১টার দিকে ফেনী সদরের উত্তর গোবিন্দপুর গ্রামের শহীদ আব্দুল ওহাবের বাড়ি গিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করেই গুলি করে হত্যা করে রাজাকার তোফাজ্জল হোসেন তজু, মো. আবু ইউসুফ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহাম্মদ।
এর আগে একই রাত ১০টার দিকে ওই গ্রামের শামসুল হক, আব্দুল হক, মুজিবুল হক ও আব্দুল রউফকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে কালিদহ বড়দাহ প্রসন্ন রায় জমিদারবাড়ি রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে ওই তিন রাজাকার নির্মমভাবে নির্যাতন করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের হওয়া মামলায় নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহাম্মদ ৩ নম্বর আসামি।
এসপি জানান, মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নূর মোহাম্মদ ওরফে নূর আহাম্মদসহ তিন রাজাকারে বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয় (মামলা নম্বর ২/২০১৯)। পরে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।