দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে পিটিয়ে বাড়িছাড়া, নিষ্ক্রিয় পুলিশ

১৩ দিন আগের এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

গত ৮ মে তারাকান্দা উপজেলার পূর্ব নলদিঘী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আশ্রয়হীন ওই নারী দুই শিশুপুত্র নিয়ে জেলা শহরে এখানে ওখানে ঘুরছেন।

পূর্ব নলদিঘী গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মন্তাজ মিয়া (৩২) আট বছর আগে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার এই মেয়েকে (২৫) বিয়ে করেন। তাদের দুই ৭ ও ৪ বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে।

নির্যাতিতা নারী ও তার ছেলেদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হলো না।

নির্যাতিতা ওই নারী (২৫) সাংবাদিকদের বলেন, বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার খুব ভালো চলছিল; কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার স্বামীকে বিভিন্নভাবে কুমন্ত্রণা দিতে থাকে।

“পরে আমার স্বামী ব্যবসার জন্য বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। বাবা তাকে ব্যবসা করার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেয়। এর কিছুদিন পর আবার সে একলাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে না পাড়ায় আমার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি আমার উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচর শুরু করে।”

তিনি বলেন, চার মাস আগে শ্বশুর-শাশুড়ি তার স্বামীকে আরেকটা বিয়ে করান। তারপরও তিনি সব সহ্য করে স্বামীর সংসার করার চেষ্টা করেন।

“গত ০৮ মে রাতে আমাকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন প্রচণ্ড মারধর করে দুই সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেয়।”

তিনি বলেন, পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন; সেখান থেকে আমি সুস্থ্য হয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির কাছে গেলে তারাও কোনো সমাধান দিতে পারেননি।

“তারাকান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”

মেয়েটির প্রতিবেশী মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস রহমান বলেন, “প্রায় রাতে স্বামীর মার খেয়ে মেয়েটি আমাদের বাড়ি চলে আসত। আমরা তার স্বামীকে ধমক দিয়ে মীমাংসা করে দিতাম; কিন্ত সেদিন মেয়েটিকে খুব মারধর করে বের করে দিলে আমরা ওকে হাসপাতালে পাঠাই।”

মেয়েটির স্বামী মন্তাজ মিয়ার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

তারাকান্দা থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “গত ৯ মে মেয়েটি তাকে নির্যাতন করা হয়েছে জানিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দেয়। পরবর্তীতে মেয়েটিকে থানায় ডাকা হয়। সে না আসায় আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)