আঙুলের ছাপ দিয়েই তোলা যাবে টাকা!
প্রযুক্তি মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে আরো সহজ করে দিচ্ছে। টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে লম্বা লাইনের প্রয়োজন নেই। সুবিধা অনুযায়ী যেখান থেকে খুশি টাকা তোলা যায় বুথ থেকে। প্রয়োজন ছিল একটি এটিএম কার্ড ও গোপন পিন নম্বর।
এবার আর প্রয়োজন নেই এটিএম বুথে পিন নম্বর। এটিএম কার্ডও লাগবে না। শুধু আঙুলের ছাপ দিয়েই এবার এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাবে। যেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি বা সারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে, সেখানে এই এটিএম চালানো যাবে অনায়াসেই সৌরশক্তিতে।
‘জনতা সোলার এটিএম’ নামের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন ভারতের কলকাতার একদল গবেষক।
আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চে’ তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ছয় থেকে ১২ মাসের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে এ এটিএম।
গবেষক শান্তিপদ গণচৌধুরী বলেন, এ জনতা সোলার এটিএম যেহেতু চালানো হবে সৌরশক্তিতে, তাই বিদ্যুত্শক্তির সাশ্রয় হবে। তা ছাড়া কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ না পৌঁছালেও, সেখানে সৌরশক্তিতে চলা এ এটিএমকে পৌঁছে দেওয়া যাবে।
গবেষকরা জানান, ‘স্ট্যান্ডবাই মোড’-এ থাকার সময় সর্বোচ্চ ৪০ ওয়াট সৌরশক্তি খরচ হবে। আর টাকা তোলার সময় খরচ হবে, খুব বেশি হলে ১৫০ ওয়াট। অর্থাৎ একটি কম্পিউটার চালাতে যতটুকু বিদ্যুত্শক্তি লাগে, এই এটিএমে লাগবে তার দ্বিগুণেরও কম।
সৌরশক্তিতে চলা এ এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতিও খুব সহজ, যা নিরক্ষর বা প্রবীণদের পক্ষেও মোটেই অসুবিধার হবে না।
পিনের বদলে থাকবে একটি স্টিকার, যা মোবাইলের গায়েও লাগিয়ে রাখা যাবে। অথবা থাকবে একটি টোকেন, যা পকেটে, মানিব্যাগে রাখতে অসুবিধা হবে না। হারিয়ে গেলেও বিকল্প টোকেন মিলবে ব্যাংকে। কিন্তু সেই স্টিকার বা টোকেন যদি হারিয়ে ফেলেন, এর পরও তা বিপদের কারণ হবে না।