১০ টাকা দরের চাল হজম করেছেন দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মফে

কলারোয়ার দেয়াড়া ইউনিয়নে ১০ টাকা দরের চালের কার্ডধারীর সংখ্যা ১৩ শতেরও বেশি। এর মধ্যে ৫৬০ টি কার্ড নতুন করে পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত নামের কার্ডধারীরা আর্থিকভাবে অসচ্ছল এবং তারা কার্ড পাবার যোগ্য। অথচ তাদের চাল ক্রয়ের সুবিধা না দিয়ে চেয়ারম্যান তা কালোবাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন।

রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য ও দেয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি গাজি মতিয়ার রহমান। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দেয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি খায়রুল বাসার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ১০ টাকা কেজি দরের চাল না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা সম্প্রতি কলারোয়ায় বিক্ষোভ দেখায়। এ নিয়ে ১০ মে তারিখে পত্র পত্রিকায় রিপোর্টও প্রকাশিত হয। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে নিজের কেলেংকারি ধামাচাপা দিতে বিষয়টি নিয়ে ভুল বকতে শুরু করেছেন। তিনি উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিষ্কৃতি লাভের চেষ্টা করেছেন। এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন চেয়ারম্যান মফে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দেয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ন প্রচার দিতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন যে ৫৬০ টি কার্ডের বিপরীতে ১০ টাকা দরের চাল দেওয়ার কথা তাদের না দেওয়ার কারণ তারা উপজেলা নির্বাচনে আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর সমর্থনে কাজ করেছেন। এতে চেয়ারম্যান মফে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে তাদের চাল দেননি গত এপ্রিল মাসে। অভিযোগ করে তারা আরও বলেন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে ও দুই ডিলার তা আত্মসাত করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির বিষয়ে জানতে গেলে ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হক ঝড়–কে চেয়ারম্যান ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মান্নান আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক। তারা বাবা আওয়ামী লীগ করতেন। অপরদিকে দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেয়াড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চেয়ারম্যান নিজে ও তার পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। তার ভাই বিএনপি নেতা আমানুল ইসলাম ২০১৩ সালে নাশকতা চালিয়েছে। তার নামে একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান মফে ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নিজেকে হাইব্রীড আওয়ামী লীগ বানিয়েছেন। তিনি এখন দলে ঢুকে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন। অপরদিকে চাল চুরির মতো অপরাধ করেও নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দেয়াড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদি হাসান, শ্রমিক লীগ সভাপতি সফেদ আলি, যুবলীগ সভাপতি বাপ্পী খান, মহিলা লীগের সম্পাদক নাসিমা খাতুন, যুবলীগের রিপন হোসেন, সৈনিক লীগের উপজেলা নেতা মেহেদি রুবেল, সৈনিক লীগ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, কৃষক লীগ সম্পাদক আবুল হোসেন বাবুল, ছাত্রলীগ আহবায়ক সানি খান, তাঁতী লীগের মো. জসীম প্রমূখ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)