চাঁদে যাবে বেজোসের ব্লু মুন

২০২৪ সালের মধ্যে চাঁদে নভোযান পাঠাতে চান আমাজনের উদ্যোক্তা জেফ বেজোস। এ লক্ষ্যে তৈরি করছেন নতুন নভোযান। সম্প্রতি এ নভোযানের একটি নমুনা প্রদর্শন করছেন তিনি। ব্লু মুন নামের এ নভোযান পুনর্ব্যবহারযোগ্য। এটি বৈজ্ঞানিক উপকরণ, কৃত্রিম উপগ্রহ বা রোবটিক যান বহন করতে সক্ষম। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ব্লু মুনে বিই-৭ নামের একটি রকেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে।

বেজোস বলেন, সময় এখন চাঁদে যাওয়ার। সেখানে অবস্থান করার।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার কর্মকর্তা ও চাঁদে যেতে আগ্রহী গ্রাহকদের সামনে ওয়াশিংটন কনভেনশন সেন্টারে চাঁদে যাওয়ার লক্ষ্যের কথা জানান বেজোস। ব্লু অরিজিন নামের একটি মহাকাশ অভিযান প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লু মুন নভোযানে পৃথিবী থেকে চাঁদে যাওয়ার মতো যথেষ্ট জ্বালানি থাকবে। সেখানে প্রয়োজনীয় রসদ পাঠাতে পারবে। এ ছাড়া চাঁদের কক্ষপথে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করতে পারবে।
ব্লুমুনের ওজন হবে ৩৩ হাজার পাউন্ড। চাঁদে নামার সময় ওজন কমে ৭ হাজার পাউন্ডে নেমে আসবে।

চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে ব্লু মুনের সম্ভাব্য নামার স্থান হবে। সেখানে গর্তের মধ্যে বরফের সন্ধান মিলেছে। ওই বরফ থেকে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা যাবে এবং তা ব্যবহার করে সৌরজগতে অন্যান্য মিশন পরিচালনা করা যাবে।

গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রের নভোচারীরা চাঁদে যাবেন। বেজোস বলেন, ব্লু অরিজিন ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই কাজ করতে পারবে। ২০১৬ সাল থেকে তাঁরা ওই নভোযান তৈরির কাজ করছেন।

মহাকাশে অবকাঠামোর অভাব বলেই সেখানে এখন মজার কিছু করতে গেলে খরচ অনেক বেশি পড়বে বলেই মনে করেন বেজোস।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)