আশাশুনিতে হয়রানীর প্রতিকার চেয়ে রেকর্ডীয় ও ভোগদখলীয় জমির মালিকের সংবাদ সম্মেলন

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি মৌজায় ভোগদখলীয় ও চলতি মাঠজরিপে রেকর্ডীয় জমির মালিক আলহাজ¦ মহব্বত আলি সরদার প্রতিপক্ষের হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

মৃত নেয়ামত আলি সরদারের পুত্র আলহাজ¦ মহব্বত আলি লিখিত বক্তব্যে বলেন, কাদাকাটি মৌজায় ২৪২৯, ২৫৪৬, ২৬২১সহ ১২টি খতিয়ানে বিভিন্ন দাগে ১.১৪ একর জমির পুকুর ও পুকুর পাড় এবং ১.০৮ একর ভিটেবাড়ির জমি ১৯৯৬ সাল থেকে ক্রয় শুরু করে ভোগ দখলে আছেন। ক্রমান্বয়ে সকল জমি ক্রয় করে এক সময় তিনি সেখানে ঘরবাড়ি বেধে বসবাস করে আসছেন। চলতি মাঠ জরিপে উক্ত জমি তাদের নামে রেকর্ড হয়েছে। একই গ্রামের মৃত তারিফ গাজীর ছেলে হাবিল, দলিল উদ্দিন সানার ছেলে শাহাবউদ্দিন ও সোবহানসহ তাদের সহযোগিরা তাদের কোন কাগজপত্র না থাকা এবং সেটেলমেন্টে তাদের নামে রেকর্ড না হওয়া স্বত্বেও পুকুরে তাদের জমি আছে দাবী করে জবর দখলের চেষ্টা করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আসছেন। এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ হলে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তারা জবর দখলের চেষ্টা করলে থানায় অভিযোগ করা হলে ১৮/৯/১৭ তাং উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি হলে তার (মহব্বত) পক্ষে রায় হয় এবং আদালতে দেং মামলা (২৭/১৬) নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যে যে অবস্থায় আছে সেভাবে থাকতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। আইনে পরাজিত হলেও প্রতিপক্ষ হুমকী ধামকী অব্যাহত রাখে। বাধ্য হয়ে মহব্বত আলি বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭ ধারা মামলা করেন। এরপরও তারা ষড়যন্ত্র থামাননি এবং গত ভাদ্র মাসে পুকুরে জোরপূর্বক নেটজাল টানিয়ে দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন থানায় অভিযোগ করলে তাদের পক্ষে রায় না পেয়ে তারা এএসপি (সার্কেল) বরাবর চলে যান। গত ৩/৪/১৯ তাং এএসপি মহোদয় উভয় পক্ষকে মাপজরিপ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে ১৩/৪/১৯ তারিখ মাপজোকের দিন ধার্য করেন। কিন্তু না তারা মাপজোকে আসেননি। বরং নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। সকালে জানতে পেরে মহব্বত দ্রুত জাল ফেলে মাছ রক্ষার চেষ্টা করেন। এখানেও বেশী ক্ষতি করতে না পেরে এদিন রাতে তারা নিজেদের দু’টি কাঠ ঘর ও গোয়ালঘরে আগুন লাগিয়ে প্রতিপক্ষের উপর চাপানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে থানায় অভিযোগ করতে বললেও তারা থানায় না গিয়ে সাংবাদিকদের আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা তথ্যা ও গল্প বানিয়ে পত্রপত্রিকায় অসত্য ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করিয়ে তাদের (মহব্বত) বিরুদ্ধে বিষোদগার ও সামাজিকভাবে সম্মান হানির চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি ২০০৫ সালে এমনই ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বলেন, তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান কনক চন্দ্র সরকার, এস এম রফিকুল ইসলাম, মেম্বার ইয়াকুব আলি বেগ, গৌরি রানী দাশ, তারক চন্দ্র মন্ডল, মফিজুল গাজী, বদিউজ্জামান তাদের অপ তৎপরতার হাত থেকে তাকে (মহব্বত) রক্ষার জন্য প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করেছিলেন। এব্যাপরে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)