‘বৈশাখের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, উন্মুক্ত স্থানে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করে স্থান ত্যাগ করতে হবে। আর বিকেল ৫টার পর অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত পয়লা বৈশাখ উদযাপন সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রমনা বটমূলের মূল অনুষ্ঠান, রবীন্দ্রসরোবর ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিতব্য অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরা, পুলিশি তল্লাশি, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত থাকবে।

তিনি জানান, পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং ও নাশকতা রোধে পুলিশ র‌্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও মাঠে থাকবে। ঢাকাসহ সারা দেশে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, নববর্ষের র‌্যালিতে মুখোশ পড়া যাবে না। তবে মুখোশ হাতে নেওয়া যাবে। আর ভুজুভেলা বাজানো যাবে না। এমনিক বাঁশি হাতে নিতে পারবে না কেউ।

তিনি বলেন, পয়লা বৈশাখে পুরো ঢাকা শহরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কূটনৈতিক এলাকায়ও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ১৩ এপ্রিল স্টিকার ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ছিনতাই ও মাদকসেবন যাতে করতে না পারে সেজন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর থাকবে। আগের দিন মাদকের আস্তানাগুলোতে অভিযান চালানো হবে। কেউ অপরাধ করার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পয়লা বৈশাখের দিন রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা বলয় থাকবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নববর্ষ বিরোধী পোস্ট প্রচারে মনিটরিং করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নববর্ষ বিরোধী পোস্ট দেওয়া হয়। এসব যাতে কেউ দিতে না পারে সেজন্য কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে।

এবারের বৈশাখী অনুষ্ঠানে নাশকতার আশঙ্কা আছে কি না-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের সংবাদ পাইনি। তবে নাশকতা বলেন, যেকোনো চ্যলেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের বাহিনী সক্ষমতা আছে, প্রস্তুতও রয়েছে।

পুলিশ সদস্যের অসততা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সত্য মিথ্যা এখানে প্রশ্ন আসে না। অপরাধী সে যেই হোক আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সে পুলিশ হোক, সেনাবাহিনীর সদস্য হোক। অন্যায় করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এ পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইজিপি, র‌্যাবের ডিজি, আনসার ভিডিপির ডিজি, কোস্টগার্ড ডিজি, ফায়ার সার্ভিসের ডিজিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)