বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি: পলক

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০ কোটি। আর গত দশ বছরে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি খাতেই দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর কুড়িলের আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় শুরু হওয়া তিন দিনের বেসিস সফটএক্সপো’র উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন ।

বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। অনুষ্ঠানে বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ সম্পর্কে সূচনা বক্তব্য রাখেন সফটএক্সপো’র আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ফারহানা এ. রহমান।

পলক বলেন, এরইমধ্যে আমাদের লার্নিং-আর্নিং, শি পাওয়ার, এলআইসিটি, সারাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের আওতায় প্রশিক্ষণ, আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় স্টার্টআপ বাংলাদেশ ক্যাম্পেইন, এসব প্রকল্পের আওতায় অনেক তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ পেয়েছে। ফলে আমরা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আত্ম-কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ করে দিয়েছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, এর ফলে দেশে মোটামুটি প্রায় ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার, দুই লাখ বেসিস সদস্যদের কর্মী, সঙ্গে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, পোস্ট ই-সেন্টার, সিটি কর্পোরেশন, মিউনিসিপালিটিসহ অন্যান্য ডিজিটাল সেন্টার মিলিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে গত দশ বছরে দশ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে তিন লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মাধ্যমেই করা হবে বলে জানান পলক।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ছোটবেলা থেকেই যাতে শিশু কিশোররা কম্পিউটার প্রোগ্রামসহ অন্যান্য বিষয় জানতে ও শিখতে পারে সেজন্য এরইমধ্যে ৯ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আগামী পাঁচ বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে আরো ২৫ হাজার ৫০০ ল্যাব স্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, হাইস্পিড কানেক্টিভিটি দিতে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এক লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ৩০ হাজারের বেশি সরকারি দপ্তর বা অফিসকে এস্টাবিলিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটির আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনা না থাকলে, ফাইবার অপটিক ইউনিয়ন পর্যায়ে নেয়া সম্ভব হতো না। কারণ ১০ বছর আগে ডমিস্টিক নেটওয়ার্ক কোঅর্ডিনেশন নামে কমিটি গঠন করেছিলেন জয়। যার ফলে আমরা জানি কোন আইএসপি কোথায় কাজ করছে।

তিনি বলেন, এইমধ্যে ইউনিয়নগুলোকে হাইস্পিড ইন্টারনেটের আওতায় আনতে ইনফো সরকার-৩ প্রকল্প নিয়েছি। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে সবগুলো ইউনিয়নকে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আনতে কানেক্ট বাংলাদেশ নামের আরেকটি প্রকল্প নেয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অ্যাপস, ড্রোনের মতো প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে আমরাও বিশ্বমানের মেলা আয়োজনে সক্ষম। এটি একটি ইতিবাচক সংযোজন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)