বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন

সারাদেশের ন্যায় বেনাপোল মাধ্যমিক স্কুলগুলোয় স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা থেকে প্রতিনিধি নির্বাচন এর লক্ষে ছাত্রছাত্রীরা ভোট প্রদান করে। বেনাপোল হাইস্কুলে কিছুটা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হতে দেখা গেছে। স্কুলের দায়িত্বশীল শিক্ষকরা বহিরাগতরা চাপ দিয়ে তাদের পছন্দমত প্রতিনিধি নির্বাচিত করার ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন।

সকাল ৯ টার সময় বেনাপোল মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করছে। তাদের শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত আছে ঐ স্কুলের স্কাউট মেয়েরা। একজন একজন করে ৫ টি ভোট বুথ রুমে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রিজাডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের মাধ্যমে ব্যালট পেপার নিয়ে ভোট প্রদান করছে। সেই সাথে প্রতিটি ভোটারের হাতে কালির দাগ লাগিয়ে দিচ্ছে যাতে পুনরায় ভোট দিতে না পারে। অপরদিকে বেনাপোল হাইস্কুলে সকাল ১০ টার সময় গিয়ে দেখা যায় সেখানে কোন বুথ নাই। শিক্ষার্থীরা ক্লাসের বেে বসে তাদের ব্যালট পেপারে টিক দিচ্ছে। গোপন কোন বুথ সেখানে নেই। ঐ স্কুলে দেখা গেছে জনৈক ছাত্রী তার হাতে প্রার্থীদের সিরিয়াল নাম্বার লিখে এনে নকল করার মত দেখছে আর টিক চিহ্ন দিচ্ছে। কেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা শিক্ষক সেলিম রেজা বলেন, বহিরাগত লোক এসে তাদের পছন্দের তালিকা দিয়ে বলছে এই প্রার্থীদের জয় করতে হবে। বেনাপোল সানরাইজ পাবলিক স্কুলে অত্যন্ত নিয়ম শৃঙ্খলার ভিতর দিয়ে ভোট দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে বেনাপোল হাইস্কুলের দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বলেন, এ ধরনের চাপ আমাদের প্রতি আছে। কিন্তু আমরা স্বচ্ছ ভাবে নির্বাচন করব। কোন রকম অনিয়মের মধ্যে আমরা নির্বাচন করতে চাই না।
মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ে ১০৫০ জন শিক্ষার্থী ও বেনাপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯৯০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭৪৫ জন বালক ও ২৪৫ জন বালিকা এবং সানরাইজ পাবলিক স্কুলের ৩৯০ জন ভোটার শিক্ষার্থী ভোট দিচ্ছে ৮ টি পদে প্রতিনিধিত্ব নির্বাচন করার জন্য।
মরিয়ম মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাসিনারা বেগম বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর বেশী যারা ভোট পাবে তাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ ৮ টি পদে দায়িত্ব দিবেন। বেনাপোল হাইস্কুল ও মরিয়ম বালিকা বিদ্যালয়ে উভয় কেন্দ্রে ২৪ জন প্রার্থী নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং বেনাপোল সানরাইজ পাবলিক স্কুলে ২৮ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।
সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল হাইস্কুলের সহকারী প্রিজাউডিং অফিসারে দায়িত্বে থাকা ঐ স্কুলের ছাত্র তাছিন জানায় প্রধান প্রি-জাইডিং অফিসার তানভির নির্বাচন কেন্দ্র থেকে চলে গেছে। অবশ্যই বেলা সাড়ে ১১ টার সময় সে স্কুলে প্রবেশ করে।

বেনাপোল হাইস্কুলের অনিয়ম ও বহিরাগত দিয়ে নির্বাচন প্রভাবিত করার বিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম হওয়ার কথা নয়। এরকম হলে বিষয়টি আমি দেখব।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)