কাদেরের পরে কে?

গুরুতর অসুস্থ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল রাতে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পৌঁছেছেন। সেখানে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যারা তাকে পর্যবেক্ষণ করবেন। সেখানকার চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, তারা প্রথমে ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা স্থিতিশীল করবেন। এরপর তারা কাদেরের হার্টে ধরা পড়া দুটি ব্লক অপসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে,ওবায়দুল কাদেরের এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে হতে পারে। সেটা এক মাস, দেড় মাস এমনকি তার চেয়ে বেশি সময় ধরেও হতে পারে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি তৎপর, কর্মঠ এবং সার্বক্ষণিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কিত তাদের মধ্যে ওবায়দুল কাদের নিঃসন্দেহে অন্যতম। তিনি দল ও মন্ত্রণালয়ের কাজে প্রচুর সময় দিতেন। কিন্তু এরকম অসুস্থতার পর তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এলেও তিনি কতটুকু কর্মচাঞ্চল্য ধরে রাখতে পারবেন সেটা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা কল্পনা হচ্ছে। বিশেষ করে মন্ত্রণালয় ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মতো দুটি গুরুদায়িত্ব পালন করার মতো শারীরিক অবস্থা তার থাকবে কি না সেটা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছে।

সুস্থ হয়ে ফিরে এলেও তাকে কঠোর রুটিন, নিয়ম-শৃঙ্খলা ও চিকিৎসকের বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে দীর্ঘসময় থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি একসঙ্গে দুটি দায়িত্ব কিভাবে পালন করবেন সেটা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা কথাবার্তা চলছে। অনেকে মনে করছেন ওবায়দুল কাদের দুটি দায়িত্ব পালন করলেও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্য থেকে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হতে পারে যিনি দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন।

যদি এরকম পরিস্থিতি হয়, ওবায়দুল কাদেরের সুস্থতা বিলম্বিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগকে একজন নতুন সাধারণ সম্পাদক খুঁজতে হতে পারে। তবে এগুলো সবই ভবিষ্যতের ব্যাপার। সবার আগে ওবায়দুল কাদেরের সুচিকিৎসা। আওয়ামী লীগের মধ্য থেকে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের অন্য কোন ভাবনা নেই। আওয়ামী লীগ তার চিকিৎসার বিষয়টা নিয়েই ভাবছে। কে সাধারণ সম্পাদক হবে বা না হবে সেসব ভাবনা-চিন্তা আপাতত আওয়ামী লীগের নেই।

তবে যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করতে পছন্দ করেন তারা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের এখনই উচিৎ একজন বিকল্প খোঁজা। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন, রাজনীতির মধ্যে জড়িয়ে থেকে কেউ যেন নিজের শরীরের অযত্ন না করে। স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সবাই যেন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)