শপথ নিয়ে ড. কামালের দ্বৈত আচরণ
একাদশ জাতীয় সংসদের সাংসদ হিসেবে শপথ নেয়ার জন্য গতকাল সংসদ সচিবালয়ে চিঠি দিয়েছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং মোকাব্বির খান। সুলতান মনসুর জানিয়েছেন, তিনি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কথা বলেই এ চিঠি দিয়েছেন। ড. কামাল হোসেনের সম্মতির প্রেক্ষিতেই তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন।
কিন্তু গণফোরামের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা যদি শপথ নেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থাকেও সুলতান মনসুর হাস্যকর বলেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি গণফোরামের সদস্য নন। তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন। তিনি স্বতন্ত্র ক্ষমতায় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন। তিনি কখনই গণফোরামে ছিলেন না। সুলতান মনসুর বলেছেন, এলাকার মানুষ তাকে চেয়েছেন এবং নির্বাচিত করেছেন। কাজেই এলাকার জনগণের কাছে তিনি সবচেয়ে বেশি দায়বদ্ধ।
একাধিক সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেন গণফোরামের প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত দু’জন সাংসদের শপথ নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন। তিনি ঐক্যফ্রন্টের সভায় তাদের শপথের বিপক্ষে কথা বললেও মনসুর-মোকাব্বিরের সঙ্গে একান্তে কথা বলার সময় উল্টো সুরে কথা বলছেন। এটা তার রাজনৈতিক স্ববিরোধিতা নাকি তার বার্ধক্যজনিত সমস্যা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।
বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ড. কামাল হোসেন নির্বাচনের পর ৫ জানুয়ারি বলেছিলেন এটা বড় অর্জন। তারা শপথ নেবেন এবং সংসদে গিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু পরবর্তীতে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তিনি তার সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলেন। ধারণা করা হচ্ছে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের চাপে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। কিন্তু এরপরে সুলতান মনসুরের সঙ্গে তার একাধিকবার যোগাযোগ ও বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। প্রত্যেকটি বৈঠকে তিনি সুলতান মনসুরের যুক্তিগুলো শুনেছেন এবং তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। ড. কামাল হোসেনের এই দ্বৈত আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।