ভারতের ভয়ঙ্কর অস্ত্র ‘কালি’তে ভীত পাকিস্তান-চীন

লেজার প্রযুক্তির চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী ‘লিনিয়ার ইজেক্ট’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করেছে ভারত। যা মহাকাশে ভাসমান কৃত্রিম উপগ্রহকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। ভারতের এ প্রযুক্তিকে ভয় পাচ্ছ পাকিস্তান ও চীন।

বর্তমানে বিশ্বের সামরিক সক্ষমতা নির্ভর করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপর। বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর হাতে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। আর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থার মধ্যে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক হচ্ছে ‘লেজার প্রযুক্তি’। এর থেকেও ভয়ঙ্কর অস্ত্র ‘লিনিয়ার ইজেক্ট’, ভারত যার নাম দিয়েছে ‘কালি’।

শত্রুপক্ষের আক্রমণকে প্রতিহত করতে নানা ধরনের অস্ত্র আবিষ্কার করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে এখন তাদের ভরসা ‘কালি’।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে ভারতের তৈরি ‘কালি’ যে ধরনের অস্ত্র, তা প্রায় কোনো দেশের হাতে নেই। যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশের হাতে লেসার অস্ত্ররয়েছে। কিন্তু ভারত লেসার অস্ত্র তৈরির পথে না হেঁটে যে অস্ত্র তৈরি করেছে, তা আরো ভয়ঙ্কর।

ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী এই অস্ত্রের নাম ‘কিলো অ্যাম্পিয়ার লিনিয়র ইনজেক্টর’। যাকে সংক্ষেপে বলা হচ্ছে ‘কালি’৷

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা আকাশপথে হওয়া যে কোনো আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ‘কালি’ তৈরি করে ভারত। কিন্তু শক্তি বাড়তে বাড়তে ‘কালি’ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মহাকাশে ভাসমান কৃত্রিম উপগ্রহকেও সে ধ্বংস করতে পারে।

১৯৮৫ সালে ‘কালি’ তৈরি শুরু করে ভারত। প্রথমে এর কর্মক্ষমতা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানানো হয়নি। শিল্পের প্রয়োজনে ভারত নতুন প্রযুক্তির লিনিয়ার ইনজেক্টর তৈরি করছে বলে জানানো হয়েছিল। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীতে কালির অন্তর্ভুক্তি হওয়ার পর গোটা বিশ্বের টনক নড়ে।

আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই ঝলসে দেয়ার অস্ত্র তৈরি করে ফেলেছে ভারত।

কালি যখন প্রথম তৈরি হয়েছিল, তখন তা ০.৪ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত নিয়ে আঘাত করার ক্ষমতা রাখত। পরে এই ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে ঘটাতে কালি-৫০০০ বলে যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে, তা বহুগুণ বেশি শক্তিশালী।

৪০ গিগাওয়াট শক্তির ইলেকট্রন স্রোত ছাড়তে পারে কালি-৫০০০। এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা এরইমধ্যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমান ধেয়ে আসছে দেখলেই, তাকে লক্ষ্য করে অসংখ্য ইলেকট্রন কণার তীব্র গতিবেগসম্পন্ন স্রোত ছাড়বে কালি-৫০০০।

এ ইলেকট্রন কণার স্রোত প্রচণ্ড তপ্ত এবং বিদ্যুৎবাহী। সেই তপ্ত কণার স্রোত বা রশ্মি তড়িৎ-চৌম্বকীয় বিকিরণে পরিণত হবে। সেই বিকিরণ মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম।

কালি-৫০০০ থেকে নির্গত ইলেকট্রন স্রোত শেষ পর্যন্ত পরিণত হবে মাইক্রোওয়েভ বিকিরণে। এ মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে গ্রাস করবে ছুটে আসা যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে।

লেজার অস্ত্র দিয়েও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যায়। কিন্তু লেজার রশ্মি ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত করে তাতে ছিদ্র তৈরি করে সেটিকে ধ্বংস করে। এ পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ। কালি-৫০০০ যে মাইক্রোওয়েভ বিকিরণ ছাড়ে, তা ছুটন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রটি ঝলসে যাবে। চোখের নিমিষে আকাশেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

সূত্র: আনন্দজাবার পত্রিকা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)