কাশ্মীরের পক্ষ নেয়ায় ধর্ষণের হুমকি, অতঃপর নিখোঁজ শিক্ষিকা

কাশ্মীর নাগরিকদের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত ধর্ষণ ও খুনের হুমকি আসতে থাকে। কলেজ থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাকে। সোমবার পুলিশ তার বাড়ি গিয়ে জানতে পারে রোববার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

পেশায় শিক্ষিকা ওই নারীর নাম পাপড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটির ‘আইকন অ্যাকাডেমি কমার্স কলেজে’র অধ্যাপক। পুলওয়ামায় হামলার পরদিন ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন ওই অধ্যাপিকা। তিনি পুলওয়ামায় হামলার নিন্দা করলেও কাশ্মীরের নাগরিকদের ওপর ভারতীয় সেনার ‘অত্যাচার’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন। আর তাতেই বাধে বিপত্তি।

এই পোস্টের জেরে শনিবার কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেন্ড করে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ধর্ষণ-খুনের হুমকি পেতে থাকেন তিনি। পাপড়ি নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে লিখেছেন, ‘ইনবক্সে ক্রমাগত, ধর্ষণ, গণপিটুনি ও খুনের হুমকি পাচ্ছি। কাল যদি আমার কোনো ক্ষতি হয়, তা হলে আসাম পুলিশ যেন আমার আগে দায়ের করা এফআইআরে উল্লিখিত নামগুলো দেখে। তারাই আমার ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে।’

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আসামের গান্ধীবস্তিতে বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন পাপড়ি। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারা এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার চাঁদমারি থানায় পাপড়িকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সোমবার তিনি আসেননি।

চাঁদমারি থানার পুলিশ ইনচার্জ বীরেন চন্দ্র ডেকা বলেন, ‘শনিবার তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। সোমবার উনি হাজিরা দিতে না আসায় বাড়িতে একটা পুলিশ টিম পাঠাই। ভদ্রমহিলার বাবা জানিয়েছেন, রোববার থেকে ওই শিক্ষিকা নিখোঁজ। তবে, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজের কোনো অভিযোগ তারা দায়ের করেননি।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)