কালিগঞ্জে জুয়াড়িদের থামাবে কে?

সকাল তখন ৮টা ঘুম ভাঙ্গার আগেই মোবাইল ফোনে কল আসল। অপর প্রান্ত থেকে কামাল ভাই বলছেন-
তাড়াতাড়ি চলে আসেন, বাঁশতলা বাজারে, জুয়া খেলার জন্য ভাল পার্টি আছে। আইজুল ভাই আপনার নাম্বারটা দিয়েছে আপনার সাথে কথা বলার জন্য।
– থানা পুলিশের কোন ঝামেলা আছে কীনা?-কালিগঞ্জ থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বলে খেলবেন আপনি জুয়া খেলা করছেন,তাছাড়া আপনি থানার পাস দেখে খেলতে বসবেন।

গতকাল সোমবার সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে জুয়াড়িদের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি না বুঝতে পেরে বড় জুয়ার খেলোয়াড় ভেবে দৈনিক সাতক্ষীরার ওই প্রতিনিধিকে মঙ্গলবার সকালে ফোন দেয় আবদুল বারী নামের এক জুয়াড়ি। তার সাথে মোবাইল ফোনের ৬ মিনিট আলাপে বেরিয়ে আসে কারা জুয়া আসর পরিচালনা করার জন্য তাদেরকে সাহায্য করে যাচ্ছে। এবং কারা ওই জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করছে। উল্লেখ কালিগঞ্জ উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের গৌরা খালি নামক বিলের আইজুলের মাছের ঘেরের বাসায় বসছে জুয়ার আসর।সে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হযরত আলী মোড়লের ছেলে।

আরো পড়ুন – কালিগঞ্জে আইজুলের ঘেরের বাসায় চলছে রমরমা জুয়ার আসর

প্রতিদিন সকাল ১১ থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এলাকার চিহ্নিত নামীদামী জুয়াড়িদের অংশগ্রণে চলছে জুয়ার আসর। স্থানীয়দের অভিযোগ,জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে ১ থেকে দেড় বছর যাবত ওই ঘেরের বাসায় লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হচ্ছে । মোবাইল ফোনে আব্দুল বারী নিজেকে দক্ষিণ এলাকার সবচেয়ে বড় জুয়াড়ি দাবী করে বলেন,উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য, তপন বিশ্বাস সহ বিভিন্ন এলাকার জুয়াড়িরা তাদের ঘেরের বাসায় অংশগ্রহণ করছে। এবং প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জুয়া খেলা চলছে বলে জানান।

স্থানীয়রা অনেকে বলেন দীর্ঘদিন যাবত ওই ঘেরের বাসায় জুয়া খেলা চালিয়ে গেলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে জুয়ার আয়োজক আইজুলের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমানে তেরো দিন যাবত তার ঘেরের বাসায় জুয়া খেলা চলছে। কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তার ওই জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি দৈনিক সাতক্ষীরা অনলাইন পোর্টালে গতকাল সোমবার নিউজটি দেখেছি। এবং জুয়াড়িদের বিরুদ্ধে আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই বিটের অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)