তিন বছরেও কাজ শেষ হয়নি আকাশ লীনার ওয়াচটাওরের

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ কলবাড়িতে অবস্থিত আকাশলীন ইকো ট্যুরিজোম সেন্টার । ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের চুনা নদীর পাশে ১৯ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠে আকাশ লীনা ইকো ট্যুরিজোম সেন্টার। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে আকাশলীনা একো ট্যুরিজোম সেন্টার ভ্রমণকারীদের জন্যে দর্শনীয় স্থান নামে পরিচিতি লাভ করেছে।দেশ বিদেশের ভ্রমণপিপাসুরা সুন্দরবনের প্রকৃতির অপরুপ হিমেল হাওয়া ও দৃশ্য সরাসরি দেখতে ছুটে আসেন আকাশলীনায়।আকাশলীনায় প্রকৃতির সবুজ বনায়নের ভিতরে হারিয়ে যায় ভ্রমনকারীরা।এখান থেকে জেলে বাওয়ালীদের ছোট ছোট ডেঙ্গি নৌকা নিয়ে বনের ভিতরে জীবিকা নির্বাহের জন্যে মাছ ধরতে যাওয়া দৃশ্যও চোখে পড়ে।এ ছাড়া ভ্রমন করার জন্যে ছোট বড় ট্রলার, লঞ্চ, ষ্টিমার সহ অনেক প্রকার নৌযান চলাচলের করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে বিদেশি ভ্রমন কারিদের নিয়ে আকাশ দিয়ে উড়ে আসে সি প্লেন। অবস্থান করে আকাশলীনার সম্মুখে চুনা নদীতে। এরকম দৃশ্য দেখতে কার না মন চায়। তাই এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয় ও ভ্রমনকারীরা আনন্দে মুখরিত করে তোলেন আকাশলীনা ভিতরে ও বাইরে।

আকাশলীনায় ভিতরে ভ্রমনকারীদের সুবির্ধাথে রয়েছে উন্নত মানের গেষ্ট হাউজ। এখান থেকে সুন্দরবনকে খুব কাছে থেকে উপভোগ করা যায়।পায়ে হেঁটেও সুন্দরবন দেখা যায়। তাই দেশ বিদেশের মানুষ সুন্দরবনের অপরূপ দৃশ্য দেখতে আকাশলীনায় ছুটে আসে । ভ্রমণপপিাসুর জন্যে সুন্দরবনকে আরো সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে আকাশলীন ইকো ট্যুরিজোম সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের অর্থয়নে আকাশলীনার ইকো ট্যুরিজোম সেন্টার শুরুতে নির্মাণ করা হয় ওয়াচ টাওয়ার। কিন্তু তিন বছর পার হলেও ওয়াচটাওয়ারের কাজটি এখনো শেষ হয়নি। আস্তে আস্তে লোনা পানির হাওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে টাওয়ারটি। কী কারণে কাজটি বন্ধ আছে প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।ওয়াচ টওয়ারের কাজটি তাড়াতাড়ি¡ শেষ হলে ভ্রমণ কারির সংখ্যা বাড়বে। টাওয়ারের উপর থেকে সুন্দরবনের ভিতর ভাল ভাবে উপভোগ করতে পারবে, পারবে সুন্দরবনের অপরুপ দৃশ্য।জেলা পরিষাদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ডালিম ঘরামীর কাছ থেকে জানা যায়, ওয়াচ টাওয়ারের জন্যে পঁচিশ লক্ষ টাকা বাজেট থাকলেও দশ লক্ষ টাকার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ পরবর্তী বাজেটে শুরু করা হবে।স্থানীয় বাসিন্দা আনিছুর রহমান,আশিকুর রহমান বলেন,তিন বছর আগে থেকে ওয়াচটাওয়ারের কাজ শুরু কারা হয়েছিল অর্ধেক কাজ হয়ে বন্ধ রয়েছে। ওয়াচটাওয়ারের কাজ টা তাড়াতাড়ি শেষ হলে সুন্দরবনের ভিতরের দৃশ্য সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যাবে।এবিষয় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান বলেন,নির্মাণাধীন ওয়াচটাওয়ারটি জেলে পরিষদের অর্থয়ানে হচ্ছ্ ে। দ্রুত কাজ শেষ করার জন্যে আমরা জেলা পরিষদকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। আমারা আশা করছি দ্রুত কাজে হাত দেবেন।ওয়াচটাওয়ারের কাজটি দ্রুত শেষ না হলে ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাবে। ওয়াচটাওয়ারের কাজটি শেষ করার জন্যে জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় ও ভ্রমণ কারীরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)