দরগাহপুরে মন্দিরের কল্যাণে নিবেদিত জমি জবর দখলের অভিযোগ

আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটিতে মন্দিরের কল্যাণে নিবেদিত জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রতিকার প্রার্থনা করে থানায় লিখিত অভিযোগের পর প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে দখল বজায় রাখায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পাইকগাছা উপজেলার বাঁকারবাগের মৃত তারক চন্দ্র পালের পুত্র বৈষ্ণব দাসানুদাস উদ্ধব শ্রী চৈতন্য দাশ ওরফে উত্তম কুমার পাল বাঁকা পালপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন শ্রীশ্রী মদন গোপাল আশ্রম নব বৃন্দাবন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি খরিয়াটি মৌজায় ১৮৪৬ নং খতিয়ানে ৬৩৭৮, ৬৪২৬, ৬৪২৯, ৬৪৩৬ ও ৬৭৩৬ দাগে ৯০ শতক জমি ২০০৮ সালে খরিয়াটি গ্রামের মৃত কাশেম মলঙ্গীর পুত্র আইয়ুব মলঙ্গী ও তার খালা আমিরন বিবির নিকট থেকে রেজিস্ট্রি কোবালা মুলে ক্রয় করে ভোগ দখলে আছেন। যা চলমান আরএস জরিপে তাদের নামে রেকর্ড হয়েছে। দখলিকার থাকা অবস্থায় জমিতে মৎস্য ঘের হওয়ায় তিনি উক্ত জমি জনৈক মহসিন আলম সুপ্ত সাহেবের নিকট ডিড দিয়ে ২০১১ হতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হারির টাকা গ্রহণ করেন। উক্ত জমির আয় তার প্রতিষ্ঠিত আশ্রমের কল্যাণে ব্যয়িত হয়ে থাকে। ডিড এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি জমিতে ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিলে জমি বিক্রেতা খরিয়াটি গ্রামের আইয়ুব মলঙ্গী এবং একই গ্রামের মেহের গাজীর পুত্র ফজলু, মৃত মোনসোপ গোলদারের পুত্র আতিয়ার, মতিয়ার, হান্নান ও অজিয়ার, আইয়ুব মলঙ্গীর পুত্র ইলিয়াচ, বাদশা, ফজলু গাজীর পুত্র মাদক ব্যবসায়ী কদম বাধা প্রদান করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে বিবাদীরা শালিস অমান্য করে। গত ৭ জানুয়ারি তিনি জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে বিবাদীরা পুনরায় বাধা প্রদানসহ মারধর করতে উদ্যত হয় ও সম্মান হানি ঘটায়। বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানালে জবর দখলকারীরা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এবং সময় ক্ষেপণ করতে থাকে। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলিকে জানালে তিনি সবকিছু শুনে বুঝে উত্তম কুমার পালকে তার জমিতে দখল নিতে বলেন। উক্ত অবৈধ দখলকারীরা খরিয়াটি গ্রামের মৃত শামছুর গোলদারের পুত্র শাহাজাহানের দেড় বিঘা জমিও একই ভাবে জবর দখলে নিয়েছেন। মন্দিরের কাজে নিবেদিত জমি জবর দখলে নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলির সাথে কথা বললে তিনি জানান, উত্তমের বৈধ ও দীর্ঘকালের ভোগদখলীয় জমি খরিয়াটির জামাত-বিএনপির ভূমিদস্যুরা জবর দখল করছে। বিষয়টি নিয়ে আমিও কথা বলেছি, কিন্তু তারা তুয়াক্কা করেনি। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)