মাইকেল জ্যাকসনের রূপ পেতে তরুণের ১১টি সার্জারি

লিও ব্লানকো। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরিসে বসবাসকারী ২২ বছরের এই যুবক মাইকেল জ্যাকসনের রুপ নিয়ে বেঁচে থাকতে ইতিমধ্যেই ১১টি প্লাস্টিক সার্জারি করেছেন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মাইকেল জ্যাকসনের ন্যয় মুখায়ব পেতে তিনি আরো সার্জারি করাবেন বলেও জানিয়েছেন বারক্রফ্ট টিভিকে। তার মতে,”নির্দিষ্ট চেহারা পেতে একাধিক অস্ত্রোপচারের বিকল্প নেই।’ লিও প্রথমে দু’টি অটোপ্লাস্টি অস্ত্রোপচার করে তার কানে, এরপর তিনটি লিপোসাকশন, চারটি রাইনোপ্লাস্টি এবং দুই হিলুরোনিক এসিড এবং বোটক্স করেন। তিনি বলেন, “আমি এই চেহারা পেতে প্রায় ৩০ হাজার ডলার ব্যয় করেছি।’

ইনস্টাস্টগ্রামে আর্জেন্টাইন এই যুবকের ৪০ হাজারেরও বেশি অনুসারী রয়েছে। লিও বলেন, “স্কুলে আমার তেমন কোনো বন্ধু ছিল না। ভাবতাম চেহারার কারণে কেউ আমার সঙ্গে মিশে না। এজন্য সুঠাম দেহের অধিকারী হতে নিয়মিত জিম শুরু করি। চুলের রঙ পরিবর্তন করি। তবুও আমি সমবয়সীদের সঙ্গে মিশতে পারি নি। বরাবরই ইচ্ছা ছিলো আমাকে কেন্দ্র করে যেন সকলের আগ্রহ থাকে। এজন্য শেষমেষ আমি মাইকেল জ্যাকসনের রুপ ধারন করার নিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং সফল হয়েছি। বর্তমানে আমার অনেক ভক্ত ও অনুসারী রয়েছে যারা আমাকে ভালোবাসে।’

তবে এখনো মাইকেল জ্যাকসনের রুপ তিনি ধারন করতে পারেন নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করে লিও বলেন, ‘আমার নাকে তিনটি অস্ত্রোপচার দরকার সেইসঙ্গে চিবুকেও। ভ্রু আরো একটু উঁচুতে তুলতে চাই। এটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে করা যেতে পারে। এছাড়াও আমি ফেস লিফ্টিং করাতে চাই কিন্তু সার্জনরা এটি করতে নারাজ। তাদের মতে, এগুলোর জন্য আমার আরো বয়স্ক হওয়া প্রয়োজন।’ লিওর মা, অ্যাড্রিয়ানা কারুসো স্বীকার করেছেন যে, তার ছেলে পপ সম্রাট মাইকেল জ্যকসনের ন্যয় হতে  ক্রমাগত অস্ত্রোপচারের সম্মুখীন হচ্ছেন। যদিও তিনি ছেলের এ রুপ ধারনে খুশি কিন্তু এতগুলো অস্ত্রোপচার করার বিষয়টি মা হিসেবে তিনি মানতে পারছেন না। ’

২২ বছরের লিও ছোটবেলা থেকেই পপ সম্রাটের ভক্ত। তার মতে, “মাইকেল জ্যাকসন আমার কাছে একজন শিল্পীর চেয়েও অনেক বেশি। “আমি মাইকেলকে ক্রমাগত দেখেছি, তার কথা শুনেছি, তাকে অনুভব করেছি। আমি তার অনুভূতিগুলো অনুভব করার চেষ্টা করেছি। এভাবেই একসময় অনুধাবন করলাম আমি তো তার মত দেখতে নয়! এরপর শুরু হলো অস্ত্রাপচারের নেশা। আমি তার রুপ নিয়েই পরবর্তী দিনগুলো বাঁচতে চাই।” ডা. জুলিয়েতা স্পাডা বলেন, ইঞ্জেকশনগুলোর মাধ্যমেই লিও তার আইডলের চেহারার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে। তিনি বারক্রফ্ট টিভিকে বলেন, ‘এই ধরনের পদ্ধতি খুবই সাধারণ। এটি আমার পেশাদার কার্যকলাপের প্রায় প্রতিদিনের অংশ।’

লিও বলেন, একেকটি সার্জারির পর তিনি ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন এবং আরো সার্জারি করাবেন বলেও অঙ্গিকার করেন।’ এসব সার্জারি লিওকে তার আইডলের ন্যয় হতে আরো অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। লিও’র মতে, “আমি মনে করি শরীর একটি ধারক এবং আমি এটি শৈল্পিকভাবে সংশোধন করতে পারি। ঠিক যেমন, একটি সাদা দেয়াল দেখলে তাতে গ্রাফিতি আঁকার ইচ্ছে হয় ঠিক তেমনি আমি নিজের শরীরকে ভিন্ন রুপ দিয়েছি সার্জারির মাধ্যমে।’

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)