খরিয়াটির জেসমিন আগুনে পুড়ে এখন যন্ত্রণা কাতর

আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি গ্রামের গরীবের সন্তান জেসমিন আগুনে পুড়ে যন্ত্রনাকাতর জীবন যাপন করছে। মাসাধিককাল আগুনে পুড়ে পিত্রালয়ে ধুকে ধুকে মরতে থাকলেও শ্বশুরবাড়ির কেউ তাকে কোন সহযোগিতা ও চিকিৎসা দিতে এগিয়ে আসেনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

খরিয়াটি গ্রামের শের আলি সরদারের কন্যা জেসমিন খাতুনের সাথে ৩ বছর আগে বিয়ে হয় দরগাহপুর গ্রামের ইয়াকুব আলি গাজীর ছেলে  নাসির গাজীর। বিয়ের পর থেকে তার উপর মাঝে মধ্যে অত্যাচার নির্যাতন চলে আসছিল। গরীবের কন্যা স্বামী সংসারের চিন্তা করে সব কিছু মুখ বুঝে সহ্য করে ঘর সংসার করে আসছিল। স্বামী, শ্বশুর, শ্বশুড়ির সাথে যশোরের ইটের ভাটায় কাজ করতে ও যেতে হয় জেসমিনকে । সেখানে হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরও শ্বশুর শ্বাশুড়ির মন জয় করতে পারেনি সে ।

ডিসেম্বর মাসের ১ম দিকে জেসমিন মাত্র ৫ দিন বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে ভাটায় তাদের বসবাসের বাসায় বসেছিল সকালে। শ্বাশুড়ি সে সময় ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই তার শাড়িতে আগুন জ্বলে ওঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার শরীরের বড় অংশ আগুনে পুড়ে যায়।

তাকে হ্সাপাতালে কিছুদিন চিকিৎসার পর খরচ যোগাড় করতে না পেরে বার্ণ ইউনিটে নিতে পারেনি। মঙ্গলবার দুপুরে তার পিতা মেয়েকে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে গেলে নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৫০০০ টাকা এবং সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন ১০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

তাদেরকে আশাশুনি হাসপাতালে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বার্ণ ইউনিটে রেফার করার ব্যবস্থার পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় পিআইও সোহাগ খান উপস্থিত ছিলেন।

 

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)