হাইকোর্টে মনোনয়ন হারালেন ১৬ বিএনপি প্রার্থী

এ পর্যন্ত ১৮ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে ১৬ জন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী। আর দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ছিলেন।

এসব প্রার্থিতা বাতিলের পেছনে কারণ দেখানো হয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করে মনোনয়ন গ্রহণ ও ঋণখেলাপি।

এর ফলে এসব প্রার্থী আর নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। এদিকে, বিকল্প প্রার্থী না থাকায় বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট অনেক আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছে না।

এ নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, আইনে কেউ যদি হেরে যায়, তাহলে কারো কিছু করার নেই।

এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান বলেন, ‘উচ্চ আদালত বাতিল করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। যেসব আসনে হাইকোর্ট মনোনয়ন বাতিল করেছে, সেসব আসনে নতুন করে পুনঃতফসিল ঘোষণা করার জন্য। ওই আসনে বিকল্প প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। আশা করছি, আগামী রোববারের মধ্যে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা আসবে। এ ছাড়া আমরা আইনের আশ্রয় নেব।’

এদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ আইনে পদত্যাগ না করে কেউ সংসদ নির্বাচন করতে পারবেন না। এটি সুনির্দিষ্ট আইন। কেউ জেনেশুনে আইন ভঙ্গ করলে তো আদালতের কিছু করার নেই। এ ছাড়া কিছু প্রার্থীর ঋণখেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।’

গতকাল ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ থেকে বিভিন্ন সময়ে এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে গতকাল ২০ ডিসেম্বর (সাতজন) সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে এসব প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

গত এক সপ্তাহে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থেকে নির্বাচন করার প্রেক্ষাপটে পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ এসব প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন।

এ পর্যন্ত মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—জামালপুর-৪ আসনে ফরিদুল কবির তালুকদার শামী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মোসলেম উদ্দিন, রংপুর-১ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ময়মনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হোসেন, ঝিনাইদহ-২ আসনে আবদুল মজিদ, জয়পুরহাট-১ আসনে ফজলুর রহমান ও রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাইদ চাঁদ।

এ ছাড়া রয়েছেন বগুড়া-৭ আসনের সরকার বাদল, বগুড়া-৩ আসনের আবদুল মুহিত তালুকদার, ঢাকা-২০ আসনের তমিজ উদ্দিন আহমেদ, সিলেট-২ আসনে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, জামালপুর-১ আসনে রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির মোর্শেদ মিল্টন, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খান রিতা, ময়মনসিংহ-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী আলী আজগর, দিনাজপুর সদর আসনে সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী এম এ হান্নান।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)