দিন গুনছে আশাশুনির নতুন ভোটাররা

জীবনে প্রথম সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়া নিয়ে নবীন ভোটারদের রয়েছে দারুণ কৌতূহল জেগেছে এবার একাদশ সংসদীয় নির্বাচনে। নতুন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের জীবনে প্রথম সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে রয়েছে দারুণ কৌতূহল, সঙ্গে রয়েছে নানা জল্পনাকল্পনা।
নির্বাচনে ভোট দেওয়ার মতো সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলোর উন্নয়ন হবে ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে এমনটাই প্রত্যাশা তাঁদের।
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি,দেবহাটা ও কালীগঞ্জ উপজেলার আংশিক নিয়ে আশাশুনি-৩ নির্বাচনী এলাকা।আশাশুনি-৩ সংসদীয় এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩৭ জন।এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫৩৮ জন।মহিলা ভোটার ১ লাখ ৯১ হাজার ৮শত ২০ জন।এ সংসদীয় এলাকায় ভোট বেড়েছে আশাশুনি উপজেলায় পুরুষ ১০,৫৭৫ জন এবং নারী ভোটার বেড়েছে ৯ হাজার ৬শত৭৫ জন।দেবহাটায় ভোটার বেড়েছে ১১ হাজার ৩শত ৩৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ হাজার৫৮০জন এবং মহিলা ভোটার ৫ হাজার৭শত ৫৭ জন।কালিগঞ্জ উপজেলায় ২৬ হাজার৬১ জন এর মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ৪শত৯৩ জন এবং নারী বোটার১২ হাজার৫শত ৬৮ জন।
তরুণ ভোটার বাদশা জানান, আমি সাধারণত একজন তরুণ ভোটার। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে নিজের ভোট নিজে দিতে যাবো। আশাশুনিতে বিগত দিনে যে উন্নয়ন হয়েছে, ভোটদানের মাধ্যমে আমরা সেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই। তাকেই ভোট দিবো যিনি আগামী দিনগুলোতে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
শুভরাজ জানান, আমরা চাই সুষ্ঠভাবে নির্বাচন হোক। আমরা যেন সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারি। সবাই যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এমন সরকার চাই যে সরকার দেশের উন্নয়ন করবে। যাতে মধ্য আয়ের দেশ থেকে উন্নত আয়ের দেশে রূপান্তর হতে পারি।
আলমগীর হোসন সজল জানান, নতুন ভোটার হলেও বিগত ১০ বছরে দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা স্বাধীনতার পর থেকে উন্নয়নের মাত্রাকে অতিক্রম করেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে যথাস্থানেই আমার মূল্যবান ভোট প্রদান করবো।
সুজন হোসেন হৃদয় জানান, বিগত দিনে আশাশুনি সংসদীয় এলাকায় যত সন্ত্রাস, রাহাজানি ও মাদকের বিস্তার ছিলো বর্তমানে তা কমে গেছে। এজন্য যাদের অবদান রয়েছে চিন্তাভাবনা করে তাদেরই ভোট দিবো। যাতে আমরা বিগত ১০ বছরের ন্যায় শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে পারি।
মনির হোসেন জানান, আমরা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে চাই এবং ভোট দিয়ে ভালোভাবে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা চাই। উন্নয়নের ধারা যেভাবে অব্যাহত আছে এরচেয়ে আরো উন্নয়ন দরকার। সে লক্ষ্যেই আমরা আমাদের ভোট সঠিকভাবে প্রয়োগ করবো।
তরুণ নারী ভোটার রেহানা আক্তার জানান, নতুন ভোটার হিসেবে আমার আকাঙ্খা এবং প্রত্যাশা দুটোই অনেক বেশি। অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ এবং সুশৃঙ্খল একটি নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। পাশাপাশি আরো উন্নতি দেখতে চাচ্ছি। আমরা নারীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি। আমার সংসদীয় এলাকায় বিভিন্ন কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ অনেকটাই কম। নানান সেক্টরে নারীদের অগ্রসরতা দেখতে চাচ্ছি। এজন্য এমন একজন নেতাকে চাচ্ছি যিনি আসলে সৎ, ন্যায় পরায়ণ, নীতিবান, আদর্শবান এবং কর্তব্য পরায়ণ হবেন। যিনি আমাদের (নারীদের) প্রতিটি সেক্টরে অংশ গ্রহণ করার সুযোগ দেবেন। আশাশুনিতে সম্পদ ও সম্ভাবনা রয়েছে। যেগুলো উন্নয়নের ফলে আন্তজাতিক পর্যায়ে ফুটিয়ে তুলবে। উন্নয়নের পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ এবং সুশৃঙ্খল একটি নির্বাচনের শতভাগ প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরেক তরুণ নারী ভোটার মোর্শেদা খানম জানান, আমি নতুন ভোটার হিসেবে ভোট প্রদানের জন্য আমার মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। এমন একটা নির্বাচন হোক যে নির্বাচনে আমার মধ্যে যে আনন্দটা সে আনন্দটা নিয়েই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে আবার নিরাপদে ফিরে আসতে পারি।
তরণ ভোটার সুদীপ্ত জানান, আমাদের তরুণ ভোটারদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ একটি ভোট উৎসবের। সুষ্ঠ, সুন্দর ও অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের বেকারত্বের সমস্যা যিনি দূর করবেন, শিক্ষা ক্ষেত্র এবং তৃণমূল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন যিনি করবেন আমরা তাকেই ভোট দিবো। সুষ্ঠ-সুন্দরভাবে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরার প্রত্যাশা করেন তিনি। এছাড়াও নির্বাচিত সরকার যেন দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য কাজ করারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)