নেতা কর্মীদের চোখের জলে ভাসলেন মেয়র লিটন

যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন নেতা কর্মীদের। তিনি দল থেকে প্রধান মন্ত্রী দেওয়া নৌকা প্রতীক যে পেয়েছে তাকে ভোট দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন আপনাদের সাথে আমি ছিলাম এখনো আছি। আমি আপনাদের ছেড়ে চলে যাব না। আপনাদের সুখ দুখে ভাল মন্দ কাজে সদা সর্বদা পাশে থাকব । নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আমাদের শক্তি শালি করতে হবে। এ সময় নেতা কর্মীরা কাঁদিয়ে চোখের জলে ভাসালেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের কার্যালয়।
শনিবার সকাল ১১ টার সময় একাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচন পূর্ববর্তী দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র লিটন বলেন, সারাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে যে ভাবে উন্নয়ন হচ্ছে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যে এলাকায় যত উন্নয়ন হচ্ছে সে এলাকার মানুষ তেমন সেবা পাচ্ছে। আপনারা আমার পাশে থেকে শার্শাকে ও সেই রকম উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার এবং সুন্দর পরিবেশ তৈরি করার জন্য সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন আমি প্রয়ত নেতা তবিবার রহমান ও আব্দুল হকের আদর্শ নিয়ে তাদের সান্নিধ্যে থেকে রাজনীতির একজন কর্মী হিসাবে কাজ করে আসছি। আমি আওয়ামীলীগের কর্মী হিসাবে মাদুর বিছানো থেকে এখনো সেই একই রকম কাজ করে যাচ্ছি। সেই মাদুর বিছানো কর্মী থেকে আজও সময়ের পরিক্রমার সাথে ঘাত প্রতিঘাত অন্যায় অত্যাচার জুলুম নির্যাতন সহ্য করে আমি কাজ করে যাচ্ছি মানুষের মঙ্গলের জন্য। কারণ আমার মার্কা নৌকা। আমি যদি আপনাদের সাথে থেকে কোন প্রতিযোগিতা মূলক কাজ করে থাকি সেই মার্কাটি হলো নৌকা। আমি মামলা হামলার মধ্যে দিয়ে এবং বিএনপির ও আওয়ামীলীগের ১০ বছর যে ভাবে কাটিয়েছি সবই আপনারা জানেন। কিন্তু আমি বিচ্যুতি হয়নি আমি আমার আদর্শ ও নৈতিকতা থেকে। আমি সবসময় ভালবাসার বিনিময়ে ভালবাসা পেতে চাই আমি মায়ার বিনিময় মায়া পেতে চাই। আমি সন্মানি ব্যক্তিকে সম্মান করতে চাই ¯েœহ ভালবাসা দিয়ে ¯েœহ ভালবাসা পেতে চাই। আমি কখনো জোর করে মামলা হামলা করে মানুষকে আঘাত দিয়ে কোন কাজ আমার পক্ষে আনার চেষ্টা করি নাই। কারণ আমি মনে করেছি এ ভুবনের সৌন্দর্য মানুষ যদি লালন করতে না পারে নিজের ভূখণ্ডের জন্য যদি সমাজ সংসারে হয়ে কাজ না করতে পারে সে কখনো মানুষের কল্যাণ করতে পারে না। আমি বেনাপোলের মেয়র হিসাবে আজ ৮ বছর অতিবাহিত করছি। আমি এখানকার ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে ঘাত প্রতিঘাত অন্যায় অত্যাচার জুলুমকে সহ্য করে বেনাপোলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছি। বেনাপোলকে আধুনিক বেনাপোলে রুপান্তিত করেছি। আপনারা ও চেয়েছিলে তেমনি শার্শার মাটি মানুষের উন্নয়নের জন্য আমাকে শার্শার নেতা হিসাবে দেখতে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা যা ভালো মনে করেছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট। আমরা কেউ নৌকার বাইরে নই তাই সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীককে জয়ী করতে হবে। শার্শার মানুষ যখন অত্যাচার জুলুম নির্যাতনে জর্জরিত হয়ে আমার কাছে এসেছে তখন আমি তাদের বোমার পরিবর্তে বোমা না আঘাতে পরিবর্তে আঘাত না দিয়ে ধৈর্য ধরতে অপেক্ষা করতে বলেছি। কারণ আমি সন্ত্রাসী কোন কার্যকলাপে বিশ্বাসী নই। সংঘাতের জবাব সংঘাতে না দিয়ে আমি সকলকে ন্যায়ের পথে আদর্শর পথে চলতে বলেছি। কারণ আমি যদি বোমা বাজের বিরুদ্ধে বোমা বাজি করতাম তাহলে বেনাপোলের মানুষ যে আশা নিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছিল সে আশা কখনো পুরুন হতো না। তাই আমাকে যত আঘাত করা হয়েছে আমি সেদিকে না তাকিয়ে আমি আমার উন্নয়নে অবিচল আমি আমার স্বপ্নে অবিচল থেকেছি। তাই আমি আমার চলার পথে সকলকে বলেছি ভালবাসার চেয়ে বড় এবং শক্তি শালি অস্ত্র পৃথিবীতে আর নাই। তাই আমি আপনাাদের ধৈর্য ধরতে বলেছি। আপনারা আমাকে ভালবাসেন। আনপারা আছেন তাই আমি আছি। আমি ভেবেছিলাম আমার শার্শার ১১ টি ইউনিয়ন থেকে হয়ত আজ এ মতবিনিময় সভায় ৫ থেকে ১০ জন মানুষ আসবে। আমি ভাবিনি আজ এত মানুষ এখানে জড় হবে। হয়ত আমি আপনাদের ভালবাসি তাই আপনারা ও আমাকে ভালবাসেন। আপনারা মনে করেন কোন মানুষের স্বপ্ন যা থাকে তা অবশ্যই পুরুন হবে। শার্শার উন্নয়নে শান্তিস্বস্তির উন্নয়নের জন্য সেই সন্তান জন্ম নিয়েছে। একদিন আপনাদের সেই স্বপ্ন পুরুন হবে। আজ শার্শার ১৮২ টি গ্রামের মানুষের মাঝে কোন হাসি নেই। হাসতে ভুলে গেছে মানুষের হাসি নেই। মানুষের মধ্যে আনন্দ নেই মানুষ কেমন জানি চাপ নিয়ে চলে।
বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা মেয়র লিটনের নির্দেশে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হলে তাকে সাথে থাকতে হবে শেল্লগান দেয়। নেতা কর্মীরা বলেন আমরা নৌকায় ভোট দিব তবে তা হবে মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে। তাকে বাদ রেখে আমরা যেতে পারব না। এরপর মেয়র লিটনের মনোনায়ন না হওয়ায় নেতা কর্মীরা কেঁদে ভাসালেন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী,অর্ধ বিষয়ক সম্পাদক খোদাবক্স,আওয়ামীলীগ নেতা মিজানুর রহমান, শার্শা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন, সেলিম রেজা বিপুল, আওয়ামীলীগের উপজেলা সিনিয়র সদস্য বদিয়ার রহমান তরফদার, তবিবর রহমান বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সিনিয়র সদস্য জাকির হোসেন আলম, লক্ষনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম সহ ছাত্রলীগে যুবলীগের নেতা কর্মীরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)