নির্বাচনের আগে ইন্টারনেট ভ্যাট কমছে

আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সব পর্যায়ের ইন্টারনেট ভ্যাট ৫ শতাংশ করছে সরকার। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমবে বলে মনে করছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এটি হবে গ্রাহকদের জন্য বড় এক উপহার।’

সম্প্রতি এক বৈঠকে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার। এর আগে গত ২২ নভেম্বর অর্থমন্ত্রীকে এ বিষয়ে এক চিঠিতে ভ্যাট কমানোর অনুরোধ করে চিঠি দেন তিনি।

ভ্যাট কমানোর এই উদ্যোগের ফলে গ্রাহকের ব্যয় কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারো কারো মতে, এর ফলে গ্রাহক পর্যায়ে বরং খরচ আরও বেড়ে যেতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রযুক্তি পণ্য আমদানীকারক এক ব্যক্তি বলেন, ১৫ শতাংশ ভ্যাট থাকলে সেটির বিপরীতে রিবেট (অব্যাহতি) পান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু ভ্যাট ১৫ শতাংশের নিচে নেমে গেলে রিবেট হয় না। ফলে অনেক খরচ তখন তারা সমন্বয় করতে পারে না। এমন ক্ষেত্রে তাদের ব্যয় বাড়তেই থাকে।’

কিন্তু মোস্তাফা জব্বার মনে করেন, নতুন হার কার্যকর হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। একই সাথে গ্রাহক ব্যবহার বাড়ালে সরকারের আয়ও বাড়বে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাব অনুসারে সেপ্টেম্বরের শেষে দেশে ৯ কোটি ১১ লাখ কার্যকর ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। গত অর্থবছরে ইন্টারনেটের ভ্যাট থেকে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা আয় করে সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ইন্টারনেটের খুচরা ব্যবহারে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এতেও খুব বেশি সুফল পায়নি গ্রাহকরা।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)