নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে চান কামাল

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জয়ী হয়, তাহলে যে সংসদ হবে। সেই সংসদটাকে ঐক্যফ্রন্ট শাসনতন্ত্রের সংবিধান হিসেবে পরিগনিত করতে চায়।

গতকাল রাতে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের বৈঠক হয়। যে বৈঠকে ড. কামাল এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আমরা প্রথমেই দেশ পরিচালনা করতে চাই না। প্রথমে একটা জাতীয় ঐক্যমত তৈরী করতে চাই। বর্তমানে শাসনতন্ত্রকে প্রত্যেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো সংশোধন করেছেন। সংশোধনের প্রেক্ষিতে এই শাসনতন্ত্রে জনগনের যে মূল উপজীব্য, জনগনের সার্বভৌমত্ব। সেই সার্বভৌমত্ব বিষয়টিই এর মধ্যে নেই।  এখানে প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।  রাষ্ট্রপতির হাতে কোন ক্ষমতা নেই। তাছাড়া এই সংবিধানের মধ্যে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসনের পরিপন্থী।

এজন্য ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাইকে বলেছেন, এবার নির্বাচন হবে সংবিধান পরিবর্তনের নির্বাচন। এই সংবিধান বাদ দিয়ে একটি নতুন সংবিধানই হবে নির্বাচিত সংসদের প্রথম কাজ। তিনি এটাও ইঙ্গিত করেছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীন হওয়ার পর  ১৯৭২ সালে যে আদলে গণপরিষদ গঠন করা হয়েছিল। সেই গণপরিষদের মাধ্যমে একটি সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে ১৯৭৩ সালে যে নির্বাচন করা হয়েছিল। ঠিক একই আদলে এবারের নির্বাচনের পর যারাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, যদি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। তাহলে তাদের প্রথম কাজ হবে নতুন সংবিধান প্রণয়ন। এই সংবিধান প্রনয়নের পরেই যে সংসদ নির্বাচন হবে। তা বিলোপ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)