কলারোয়ায় সন্তানদের অমানবিক আচরণে ৮০ বছরের বৃদ্ধার আত্মহত্যা
সন্তানরা ভরণপোষণ না দেয়ায় কলারোয়ায় ৮০বছরের এক বৃদ্ধা মা আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো। শুধু তাই নয়, বিষপান করার পর টানা ৩দিন বেঁচে থাকলেও সন্তানদের অমানবিক আচরণে বিনা চিকিৎসায় শেষ পর্যন্ত মারা-ই গেলেন সেই হতভাগা মা। ঘটনাটি ঘটেছে-কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের গণপতিপুর গ্রামে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন-ওই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনর স্ত্রী ও ৭ সন্তানের জননী সবুরুন নেছা (৮০) গত ৩১অক্টোবর রাতে মাঠে ঘাসমারা বিষ পান করে। স্বজনরা সেই রাতেই চিকিৎসার জন্য কলারোয়া ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনায় প্রেরণের পরামর্শ দিলে সন্তানরা সেটা না করে অনেক টাকা খরচা হবে ভেবে তারা তাদের মা’কে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় ৩নভেম্বর রাতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। সূত্র আরো জানায়- ঠিকমতো ভরণপোষণ না পেয়ে সন্তানদের উপর রাগে-অভিমানে ঘরে থাকার ঘাস মারা বিষ পান করে সবুরুন নেছা। তখন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হলেও চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেয়ার পরামর্শ দিলেও মায়ের বয়স বেশি হওয়ায় খুলনায় নিয়ে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে বলে তার সন্তানেরা খুলনায় না নিয়ে বরং বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ৩দিনের বেশি সময় ধরে এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় শনিবার দিবাগত রাত (৪নভেম্বর) আড়াইটার দিকে বাড়িতেই সবুরুন নেছা মারা যান। খবর পেয়ে রবিবার (৪নভেম্বর) কলারোয়া থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল করেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা (নং-৩৫/১৮ইং) হয়েছে। এদিকে, বৃদ্ধা মা ৭ সন্তান জন্ম দেয়ার পরেও তাদের অবহেলা আর অমানবিক আচরণে মায়ের এমন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়ায় এলাকায় ধিক্কারের ঝড় উঠেছে।