হাঁপানি রোগীদের খাবারসমূহ…

হাঁপানি বা অ্যাজমা এমনই রোগ, যার কোন ওষুধ নেই। একেবারে সেরে যাওয়া বা এসব রোগ নির্মূল করে দেয়ার মতো কোনো ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয় নি। ইনহেলার বা ওষুধ নিলে হাঁপানি বা অ্যাজমা কিছু সময়ের জন্য কমে যায় কিন্তু পুরোপুরি ভালো হয় না। খাবারের এলার্জি থেকে অনেক সময় হাঁপানি হতে পারে। হাঁপানি বা অ্যাজমার সমস্যা অনেকের অল্প বয়সে হয় আবার অনেকের বুড়ো বয়সে হয়ে থাকে।

1.হাঁপানি রোগীদের খাবারসমূহ…

যাদের হাপানি রয়েছে, তাদের বেশ সামলে চলতে হয়। তারপরও কিন্তু হাপানি থেকে নিস্তার পান না। কিন্তু সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই হাপানি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। আর রয়েছে বেশ কিছু খাবার, যা নিয়মিত খেলে হাপানি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হাঁপানির জন্য উপকারী খাবার:

কলা: কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কলাতে হাই ফাইভার আছে। তাই হাঁপানি রোগীদের ফুসফুস ভালো রাখতে প্রতিদিন একটি কলা খাওয়া খুবই ভালো। অনেক সময় চিকিৎসকরাও হাঁপানি রোগীদের নিয়মিত কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ প্রতিদিন একটি কলা খেলে ৩৪% পর্যন্ত হাঁপানি ভালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

2.হাঁপানি রোগীদের খাবারসমূহ…

পালং শাক: এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কারণ পালং শাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, বিটা ক্যারোটিন ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। তাই হাঁপানি রোগীদের জন্য পালং শাক খুবই উপকারী।

হলুদ: এটি জীবাণু ধ্বংসকারী হিসেবে খুবই বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হাঁপানি রোগীদের খাবারে হলুদের পরিমাণ বেশি দিলে এ সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবে।

3.হাঁপানি রোগীদের খাবারসমূহ…

আপেল: আপেলও প্রচুর স্বাস্থ্যগুন সম্পন্ন একটি খাবার। হাঁপানির হাত থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করার জন্য আপেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই হাঁপানি রোগীদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় একটি করে আপেল রাখতে হবে।

আভোকাডো: এটিও হাঁপানির হাত থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও হাঁপানি রোগীদের পুষ্টিকর, সুষম ও হালকা মসলাযুক্ত খাবার খেতে হবে। লাল বা হলুদ রঙের ফল, সবুজ শাক সবজি হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই ভালো। কারণ এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা ফুসফুসকে শক্তশালী রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারসমূহ ফুসফুসকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। সবুজ রঙের ফল ও শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় আর মারজারিন, সয়াবিন ও অলিভ অয়েলে প্রচুর ভিটামিন ই পাওয়া যায়।

4.হাঁপানি রোগীদের খাবারসমূহ…

এসব খাবারগুলো হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। আবার অন্য কোনো রোগ থাকলে অনেক ধরণের খাবারে বিধি নিষেধও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

যেসব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে:

ডিম: স্বাস্থ্যকর ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি হাঁপানির সময় না খাওয়াই ভালো। ডিমের সাদা অংশে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে আর এই প্রোটিন অ্যালার্জির উদ্রেক করে হাঁপানি সমস্যার বৃদ্ধি করে থাকে।

দুধ: ক্যালসিয়ামের প্রধাণ উৎস হলো দুধ। দাঁত ও হাড় মজবুদ করার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন রয়েছে, কিন্তু দুধে থাকা প্রোটিন হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। যখন হাঁপানির সমস্যা বেশি পরিমাণে দেখা দিবে, তখন দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

5.হাঁপানি রোগীদের খাবারসমূহ…

চিনা বাদাম: স্বাস্থ্যকর একটি খাবার হলো চিনা বাদাম। হাঁপানি রোগীদের জন্য এই চিনা বাদাম খুবই ক্ষতকর। গবেষণা থেকে জানা যায় যে, চিনা বাদাম হাঁপানি সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সহায়তা করে থাকে।

ফ্রোজেন আলুর চিপস: দোকানে ফ্রোজেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিনতে পাওয়া যায়। এই ফ্রোজেন আলুর চিপস খাওয়া ত্থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ ফ্রিজে থাকার কারোনে আলু ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। যা হাঁপানি সমস্যা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।

সয়া: প্রোটিন সমৃদ্ধ আরেকটি খাবার হলো সয়া। সয়াতে অ্যালার্জিক প্রোটিন রয়েছে যা হাঁপানি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। হাঁপানি রোগীদের অন্য সবার থেকে বেশি সচেতন থাকতে হবে। এসব রোগীদের ঠান্ডা ও ধুলোবালি এড়িয়ে চলাই ভালো। এমনকি আপনার পোষা প্রাণীগুলর কারণেও হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই শ্বাসকষ্ট বাড়লে ঐসব প্রাণীর কাছেও যাওয়া ঠিক নয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)