শ্যামনগরে ১১ শিশু শ্রমিক উদ্ধার

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইটের ভাটায় ৬মাস মেয়াদে কাজ করার জন্য শ্যামনগর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন হতে প্রতিনিয়ত শত শত শিশু শ্রমিক সন্ধ্যা থেকে অধিক রাত পর্যন্ত গাড়ী যোগে চলে যাচ্ছে। শিশু শ্রম রোধে সরকারের বলিষ্ঠ আইন বলবত আছে। তার পরেও কতিপয় অসাধু ইটাভাটা সরদার সরকারের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সু-কৌশলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ও ম্যানেজ করে এসব শিশু শ্রমিককে বিভিন্ন ইটা ভাটার কাজে নিয়োগ করছেন। আজ রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী ও টেংরাখালী সহ অন্যান্য এলাকার ১১জন শিশু শ্রমিক ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়ার খবর শ্যামনগর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেনের কানে আসে। তাৎক্ষনিক নির্দেশে পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস আই আব্দুল হালিম উপজেলা সদরের সন্নিকটে বাস টার্মিনালে বরিশাল গামী একটি বাস গাড়ীতে হানা দেয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেন ১২ হতে ১৬ বছর বয়সের ১১জন শিশু শ্রমিক। পরিচয় নিয়ে ওই রাতেই নিজ নিজ পরিবারের কাছে তাদের ফেরৎ পাঠানো হয় এবং অভিভাবকদের ইটা ভাটায় না পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ঘটনার সময় ইটভাটা সরদার টেংরাখালী গ্রামের করিমের ছেলে মোসলেম সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশু শ্রমরোধে নিজ নিজ পরিবারকে প্রথমেই সচেতন হতে হবে। তিনি শিশু শ্রম রোধে পুলিশকে সহায়তার জন্য বলেন। উল্লেখ্য, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এক শ্রেণির দালাল চক্র অভিভাবকদের ভুলিয়ে মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল গামী শিশুদের ইটা ভাটার কাজে নিয়োগ করছেন। ৬ মাসের জন্য শিশু শ্রমিকরা ৭০ হাজার হতে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)