কালিগঞ্জে ড্রাগন চাষ করে রুহুল আমিন সফলতার মুখ দেখেছেন

বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ করে প্রথম বছরেই সফলতার মুখ দেখেছেন চাষী রুহুল আমিন মোড়ল। কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীরমপু গ্রামের মৃত গহর আলী মোড়লের পুত্র। উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চমূল্য ফসলজাত প্রচলন প্রদর্শনীর আওতায় পিকেএসএফ এর অর্থায়নে এনজিএফ এর সহযোগিতায় পৈত্রিক ৮ শতাংশ জমিতে বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) জাতের চাষ শুরু করেন কৃষক রুহুল আমিন। তার সাথে সরজমিনে আলাপচারিতায় জানা যায়, সহজ পরিচর্যা ও চাষ পদ্ধতির মাধ্যমে ১৫ মাসের মধ্যে মাত্র ২০টি গাছ থেকে ১শ ৫০-১শ ৭৫টি ফল পেয়েছেন তিনি। যার গড় ওজন ৩শ গ্রাম, পেয়েছেন উচ্চ বাজার মূল্যও। সহজ পরিচর্যা ও চাষ পদ্ধতির উচ্চ মূল্যর ভিন দেশি ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার লম্ব ক্যাকটাস জাতীয় এ ফলটি নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখছেন তিনি। সে আরো ৩৩ শতাংশ জমি এই ফল চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পরিকল্পনা রয়েছে বৃহৎ পরিসরে চাষাবাদের। রুহুল আমিনের দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এখন আগ্রহী ড্রাগন চাষে। বাংলাদেশে সর্বত্র পানি জমে না এমন উচ্চ যেকোনো মাটিতে চাষ যোগ্য রপ্তানী ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনাময় এ ফলটি ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড থেকে প্রথম বাংলাদেশে আমদানী করা হলেও এখন পর্যন্ত এর চাষাবাদ ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়নি। বানিজ্যিক ভিত্তিতে সফল ভাবে চাষ করার জন্য বাউ ড্রাগন ফল-১ (সাদা), বাউ ড্রাগন ফল-২ (লাল) এছাড়াও হলুদ ও কালচে লাল জাত রয়েছে। বছরের যে কোন সময়ে চারা রোপণ করা যেতে পারে তবে চারা রোপণের মাস খানেক পূর্বে গর্ত তৈরী করে প্রয়োজনীয় জৈব রাসায়নিক সার দেওয়া উত্তম। এটি দ্রুত বর্ধনশীল এক বছরের মধ্যেই ৩০ টি পর্যন্ত শাখা তৈরী করতে পারে। রোগ বালাই পোকা মাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে। ১২ থেকে ১৮মাস বয়সের ১টি গাছে ৫ থেকে ২০ টি এবং পূর্ণ বয়স্ক গাছে বছরে ২৫-১শ টি ফল পাওয়া যায়। গাছের পূর্ণতা পেতে ৩ বছর সময় লাগে। অপর সম্ভাবনাময় এ ফলটি চাষাবাদ সম্প্রসারিত হলে কৃষককুল লাভবান হবেন বলে আশা করছেন সচেতন মহল। সরকারি যথাযথ পৃষ্টপেশকতা পেলে তিনি তার অভিজ্ঞতা দিয়ে বৃহৎ আকারে ড্রাগন চাষ করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)