শোভনালী ইউনিয়নের ৩৯০ শ্রমিক ৩ মাসেও টাকা পায়নি
আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের ৩৯০ জন কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক ৩ মাসেও তাদের মজুরির টাকা পায়নি। মজুরি বঞ্চিত শ্রমিকরা মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করতে উপজেলায় গমন করে সাংবাদিকদের কাছে তাদের অভিযোগের কথা জানান।
শ্রমিক বসুখালী গ্রামের আফান আলী সরদার, শালখালী গ্রামের শফিক গাজীর স্ত্রী মোমেনা, কামালকাটি গ্রামের অশোক বাছাড়ের স্ত্রী সাবিত্রীসহ বহু শ্রমিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস বিল্ডিং-এ দাড়িয়ে বলেন, তারা গত রমজান মাসের আগে-পরে পূর্ণ সময় কাজ করেন। এসময় তারা বসুখালী রাস্তা ও কামালকাটি খালে কাজ করেছিলেন। তাদের মাষ্টার রোলও কাজের সরদার কামালকাটি গ্রামের নুরু গাজীর পুত্র ছাদেক ও সুপারভাইজার গোদাড়া গ্রামের সাদেক এর মাধ্যমে উপজেলায় জমা দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও তাদের মজুরীর টাকা দেওয়া হয়নি। একাজের আগের ১০০০ টাকা করে এবং বর্তমান কাজের ৮০০০ টাকা করে মোট ৯০০০ টাকা করে প্রত্যেক শ্রমিকের পাওনা রয়েছে বলে তারা জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, এক গ্রাম পুলিশ ও জনৈক মেম্বারের মধ্যে বিরোধের জের ধরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মজুরীর টাকা বন্ধ হয়ে আছে। ফলে শ্রমিকরা টাকা না পেয়ে জন প্রতিনিধি, দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে হাটতে হাটতে হাফিয়ে উঠেছে। শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ম মোনায়েম হোসেন বলেন, ইউএনও মহোদয় রিপোর্ট জেলা প্রশাসক বরাবর (ত্রাণ শাখা) পাঠিয়েছেন। আমি সেখানে গিয়েছিলাম, তারা জানিয়েছেন কাগজপত্র রেডি করা হচ্ছে, ডিসি স্যারের স্বাক্ষর হলেই টাকা ছাড় হয়ে যাবে।