ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে তুচ্ছ ঘটনায় আহত-২

সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে বৃহস্পতিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে।
জানা যায়, ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে মাসিক সভা চলছিল। এই সভায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সচিব সাধারণ সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ছাড়া সেখানে ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বর কুরবান আলীর পুত্র বাবু উপস্থিত ছিল। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর রেজাউল করিম মিঠু মাসিক সভায় মেম্বর কুরবান আলীর পুত্র বাবুকে চলে যাওয়ার কথা বললে হঠাৎ মেম্বর কুরবান ও তার পুত্র অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এ সময় উভয়ের মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি শুরু হলে চেয়ারম্যান ও মেম্বররা মিলে উভয়পক্ষকে শান্ত করে। পরবর্তীতে দুই মেম্বরের সমর্থকরা খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে হাজির হলে উভয়ের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। মারামারিতে মেম্বর কুরবান আলীর ভাগ্নে মকবুল ও মেম্বর রেজাউল করিম মিঠুর ভাই আব্দুর রহিম বাবু সামান্য আহত হয়। এসবের খবর পেয়ে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের এ,এস,আই শিল্লুর রহমান ও এ,এস,আই কুতুব উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরবর্তীতে সেখানে উপস্থিত হন সাতক্ষীরা থানার তদন্ত ওসি মহিদুল ইসলাম ও অপারেশন ওসি সেকেন্দার আলী।
পরে তাদের উপস্থিতিতে মেম্বর কুরবান আলীর ছেলে বাবু সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য মেম্বর মিঠুর কাছে মাফ চাইলে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলীপ কুমার মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক ও মেম্বর নুর ইসলাম মাগরেব, জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিন, ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, প্যানেল চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, সচিব আমিনুর রহমান, মেম্বর এস,এম রেজাউল ইসলাম, রেজাউল করিম মঙ্গল, কালিদাস সরকার, মাল খাতুন, মর্জিনা খাতুন লিলি, ভৈরবী বিশ্বাস প্রমুখ।
চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মাসিক সভায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান, সচিব, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যরা উপস্থিত থাকতে পারেন। আজকের (৪ অক্টোবর) মাসিক সভায় কুরবান মেম্বরের ছেলে উপস্থিত থাকাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি বসে সমাধান হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)