অন্তিম সময়েও জনমতে এগিয়ে ড. ইউসুফ আব্দুল্লাহ

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের সর্বত্র বইছে ভোটের হাওয়া। চলছে জল্পনা-কল্পনা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের মিশনে ভোটের মাঠে নেমেছে আগেই। ভোটের মাঠে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড়ে অন্তিম সময়েও সাতক্ষীরা-০৩ আসনে প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো: আব্দুল্লাহ’র নাম তৃণমূল তথা সকল শ্রেণির মানুষের মুখে সমস্বরে উচ্চকিত। মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান চালিয়ে অসংখ্য মনোনয়নপ্রত্যাশীকে পেছনে ফেলে সাতক্ষীরা-০৩ আসেন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো: আব্দুল্লাহ। তাঁর শীর্ষে অবস্থান করার কারণ জানতে চোখ রাখুন নিচে…..

প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সফল উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশের সুধী সমাজে সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন। শৃজনশীল উদ্যোক্তা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তার রয়েছে সফল পদচারনা। এর প্রতিফলন হিসেবে বিশেষ করে আবাসান এবং পর্যটন শিল্পে তিনি ব্যাপক সফলতা অর্জন করেন। পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদানেও তিনি এখন সবার শীর্ষে। তিনি ২টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ১টি মেডিকেল কলেজসহ ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। এটি এখন দেশে শিক্ষা বিস্তারে সবচেয়ে বড় এডুকেশন গ্রুপ। তিনি দেশের ১ম সারির ‘নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান। নর্দান ইউনিভার্সিটি শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অবদান রেখে চলেছে তা জাতির জন্য এক গর্বিত অধ্যায়। তার তীক্ষè মেধাশক্তি, সুদূর প্রসারী কর্মপরিকল্পনা সর্বোপরি দক্ষ ব্যবস্থাপনায় নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ অতি অল্প সময়ে দেশ-বিদেশে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে তিনি ‘নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এ- টেকনোলজি খুলনার প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য।

তিনি বাংলাদেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত IBA এর একজন স্বনামধন্য অধ্যাপক। তিনি আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থাপনা, মুক্ত বাজার অর্থনীতি, ব্রান্ডিং, প্রোডাক্টিভিটি, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন প্রতিভাধর শিক্ষক এবং দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর আইবিএতে অধ্যাপনা করছেন।

তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা, আক্ষরিক অর্থেই প্রফেসর আব্দুল্লাহর ব্যাপারে যার প্রমাণ মিলে। তিনি জ্ঞানী এবং গুণী মহলে সমধিক সমাদৃত এবং উদাহরণযোগ্য একজন উদ্যোক্তা। একজন সফল “Academic Turned Entrepreneur” হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত দেশের উচ্চশিক্ষিত মহলে। International Marketing and Productivity’র মেধাবী ব্যক্তিত্ব ড. আব্দুল্লাহর বাজার বিশ্লেষনের ক্ষেত্রে রয়েছে অসাধারণ দক্ষতা। তিনি মার্কেটকে বিশ্লেষণ করে strategic ও innovative approach নিয়ে যে ব্যবসায়িক পদক্ষেপটা নেন তা সর্বজনভাবে সমাদৃত। শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম তাকে একজন উচ্চশিক্ষিত সফল উদ্যোক্তা হিসেবে চেনেন ও জানেন এবং একই কারণে তিনি শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মের কাছে একজন রোল মডেল।

তিনি তার নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষাকে ক্লাস রুমের বাইরে (beyond class room) নিয়ে এসেছেন। বর্তমান উচ্চশিক্ষাকে যুগোপযোগী করার জন্য যে ধ্যান ধারণাটা আমরা বিদেশ থেকে বিশেষ করে পাশ্চাত্য থেকে শিখতে চাই, সেটাই তিনি গত ২২/২৩ বছরে তার সফল পদচারনা থেকে প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন। একজন বিজনেস বা অর্থনীতির শিক্ষক হিসেবে তার কর্মমূখী পরিকল্পনাটাকে বাস্তবায়ন, শিক্ষাকে ক্লাস রুমের beyond এ নিয়ে আসা এবং ব্যবসা যে knowledge/ research based একটি জিনিস, এ সবের তিনি সফল সমন্বয় ঘটিয়েছেন। এ সমন্বয়টি সফলভাবে মার্কেটে প্রমাণ করে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরীর সম্ভাবনা এবং অনুপ্রেরণার ক্ষেত্রে তিনি একটা ভিন্ন মাত্রার গতি নিয়ে এসেছেন।

জীবনের শুরুতে তিনি “Synergy Development”-মাধ্যমে ফিনল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের অভিজ্ঞতাকে/ পরিচয়কে কাজে লাগিয়ে সে দেশে winter clothing export করে তিনি তার ব্যবসায়িক পদচারনা শুরু করেন এবং সেখান থেকে কিছুটা অর্থনৈতিক সফলতা নিয়ে তিনি পরবর্তীতে ব্যবসায়ের অন্যান্য dimension-এ প্রবেশ করেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন প্রাসাদ নির্মাণ লিমিটেড (Real Estate Company) | নতুনত্ব এবং উন্নত ডিজাইন শৈলী দিয়ে নির্মাণ করেন বিভিন্ন প্রাসাদ কমপ্লেক্স। এ নির্মাণ শিল্প দিয়ে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং ব্যাপক সফলতা লাভ করেন।

এ সফলতার ধারাবাহিকতার এক পর্যায়ে তিনি এডুকেশন সেক্টরে ভূমিকা রাখার সুযোগ নেন এবং তার প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গতিশিল করার একটা প্রয়াস চালান। গত ৭/৮ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সফলভাবে গতিশীল করার ক্ষেত্রে তার মেধার জ্বলন্ত প্রমাণ স্বরূপ অন্যতম নিয়ামক হিসেবে স্বীকৃতি পায় তার dynamic leadership এবং strategic approach| রেগুলেটরি ফোর্সগুলোকে সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক লিংক/ কোলাবোরেশন তৈরী ও সমৃদ্ধশালী করে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব তিনি বাস্তবে প্রমাণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন এবং যার জ্বলন্ত প্রমাণ হলো নর্দান ইউনিভার্সিটি। এরই ফলশ্রুতিতে নর্দানের শিক্ষার্থীরা চীন সরকারের ১০০% বৃত্তি নিয়ে সেখানে উচ্চতর ডিগ্রী করার সুযোগ পাচ্ছে এবং Distance Mode এ অনলাইনে বৃটেনের University of Hertfordshire থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। শুধু উচ্চশিক্ষা নয় বরং উচ্চতর ডিগ্রী যেমন M.Phil এবং Ph.D. ডিগ্রী অর্জনের জন্য তিনি যে প্রক্রিয়াটা হাতে নিয়েছেন তাতে নর্দানের শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে বিদেশে গিয়ে M.Phil এবং Ph.D. করার সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি মনে করেন যথার্থ উচ্চশিক্ষা হলো দেশের ব্যবসায়ের প্রধান শক্তি। বড় বিজনেস করতে গেলে, মার্কেটে সফল পদচারনা করতে গেলে, entrepreneur হতে হলে যে উদ্যম এবং শক্তির দরকার তা যোগান দেয় উচ্চশিক্ষা। এভাবে শিক্ষতি তরুণ entrepreneur তৈরী করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই তার মূখ্য উদ্দেশ্য। দেশকে স্বাবলম্বী করা, দেশকে নতুনত্বের দিকে নিয়ে যাওয়া, ডিজিটাল টেকনোলজি নিয়ে নতুন নতুন innovation করা, সামগ্রিক সামাজিক জীবনের সাথে ডিজিটাল টেকনোলজির সমন্বয় সাধন করে জীবনের মান উন্নয়ন করা তার innovative দৃষ্টির অংশ এবং এটা তার একটা passionও বটে। “Creativity”, “Knowledge”, “Change” এ শব্দগুলোর ভেতরেই তার সার্বক্ষণিক বিশ্লেষণধর্মী পদচারনা। Knowledge, creativity, innovation এবং পরিবর্তনশীল দুনিয়ার চ্যালেঞ্জগুলোর সমন্বয় ঘটিয়ে কিভাবে তরুণ উদ্যোক্তাদেরকে কর্মমূখী হিসেবে গড়ে তুলা যায়, যার ডাইরেক্ট বেনিফিট আমাদের economy enjoy করে – এ জায়গাগুলোতেই তার মূখ্য গবেষণা এবং কাজ। তিনি মনে করেন একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে, একজন Post Doctoral Fellow হিসেবে, IBA-এর একজন প্রফেসর হিসেবে Innovation, creativity, knowledge sharing, তরুণ প্রজন্ম, গ্রাম্য অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষাকে গ্রামমূখী করা, শিক্ষার ডিজিটাইজেশন করা এবং সততা ও পরিশ্রম- এর ভিতরেই নতুন প্রজন্মকে উদ্ভাসিত করা, উদ্বেলিত করা ও অনুপ্রাণিত করা জরুরী।

তিনি আজ একজন সফল ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা। সমৃদ্ধ দেশ গড়া ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে তিনি তার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে গড়ে তোলেন বিভিন্ন সফল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে তিনি প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যেগুলির তিনি সম্মানিত চেয়ারম্যান, যেমন –

১। Synergy Development Ltd-ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের সাথে যৌথভাবে পরিচালিত একটি তৈরী পোষাক রপ্তানি প্রতিষ্ঠান।

২। A.Y.M Synergy Development Ltd -মালয়েশিয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান।

৩। Praasad Nirman Ltd -এটি দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি Real Estate Company।

৪। Praasad Paradise Ltd -থ্রি স্টার পর্যটন হোটেল, কক্সবাজার।

৫। Sundarban Scientific Shrimp Culture Ltd -বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে উন্নত চিংড়ী চাষ প্রকল্প প্রতিষ্ঠান।

৬। Bengal Japan International Development Ltd -জাপানের সাথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

৭। Northern Real Estate Ltd -রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। ঢাকার অন্যতম বৃহত্তর শপিং কমপ্লেক্স্র এ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠান।

৮। Saikat Sundarban Hotel Ltd -পর্যটন শিল্পের বিকাশে কক্সবাজারে একটি ফাইভ স্টার হোটেল এবং এমিউজমেন্ট পার্ক গড়ে তোলার কার্যক্রমও তিনি হাতে নিয়েছেন।

আর্ত পীড়িত মানবেতার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবায় তিনি গড়ে তুলেছেন-

৮। Life And Hope Foundation

৯। Sir Ansar Ali – Dolena Khanam Eye Hospital (বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্র, সাতক্ষীরার নিজ বাড়িতে বাস্তবায়নের পথে)

এছাড়াও জনসেবা ও সমাজসেবামূলক কাজে এবং দারিদ্র বিমোচনে যাকাতভিত্তিক সহযোগিতায় তিনি নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন।

বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহর জন্ম ১৯৬৪ সালে বৃহত্তর খুলনার সাতক্ষীরায়। তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ক্যাডেট কলেজে তিনি College Blue এবং Best All-Rounder Cadet হিসেবে নির্বাচিত হন। একই কলেজ থেকে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় স্থান লাভ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে গ্র্যাজুয়েশনপ্রাপ্ত হয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের IBA থেকে MBA ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি Finland-এর বিখ্যাত Helsinki Scholl of Economics and Business Administration থেকে International MBA এবং অ্যামেরিকার University of Texas, Austin থেকে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে Labor Productivity’র উপর Ph.D. ডিগ্রী অর্জন করেন। সম্প্রতি তিনি University of Malaysia Perlis (UNIMAP) থেকে Post Doctoral Fellowship অর্জন করেন। ছাত্র এবং শিক্ষাজীবনে তিনি প্রখর মেধার পরিচয় দিয়েছেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সেমিনারে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি এসোশিয়েশন অব ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট ইন সাউথ এশিয়া (AMDISA) কর্মসূচীতে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক খেতাব অর্জনসহ অনেক পুরস্কৃত হন।

এই অসাধারণ ব্যক্তিত্ব তার সফল কর্মজীবনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বহু সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাধর্মী তার বিখ্যাত ৪টি বই-

১। South Asian Hope SAARC: Will it Survive?

২। Bangladesh RMG Industry: Competitiveness and Productivity

৩। Myanmar: The Catalyst to Bridge ASEAN and SAARC -এসব বই তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তার পরিচয় বহন করছে।

৪। সার্কের উপর লিখিত বিখ্যাত ইংরেজি গ্রন্থটি ‘দক্ষিণ এশীয় জোট (সার্ক) : সংকট ও চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামে বাংলায় প্রকাশ পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থাপনা, মুক্ত বাজার অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, ব্রান্ডিং, প্রোডাক্টিভিটি, লেবার প্রোডাক্টিভিটি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, টেক্সটাইল এবং তৈরী পোষাক ইত্যাদি বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তার ২০টিরও অধিক গবেষণা নিবন্ধ।

দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে উচ্চশিক্ষা শেষে নিজ উদ্যোগেই দেশে ফিরে তিনি তার প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্যে উদ্যোগ গ্রহণ এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের এক পর্যায়ে পর্যটন ও আবাসন শিল্পে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। আবাসন ও পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেন এবং সকল ক্ষেত্রেই সফলতা পেতে শুরু করেন। বিশেষ করে “ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট এসোশিয়েশন অব বাংলাদেশ (TDAB)ÕÕ এর ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি জাতীয় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।

তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব গর্ভনরস এর একজন সম্মানিত সদস্য। তিনি IBA এর ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (MDP) এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

প্রফেসর আব্দুল্লাহ তার পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করার লক্ষ্যে বিশ্বের নামি-দামি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ‘আন্তর্জাতিক গবেষণা ও শিক্ষা-উন্নয়ন’Franchise Collaboration গড়ে তুলছেন। যেমন-

১। লন্ডন ভিত্তিক পৃথিবীর বিখ্যাত শিক্ষা কোম্পানী ‘Pearson-Edexcell’ এর সাথে তিনি collaboration করেছেন যার ফলশ্রুতিতে ‘Pearson-Edexcell’ এর world famous HNC & HND Qualifications পাচ্ছে নর্দানের শিক্ষার্থীরা।

২। বৃটেনের ‘University of Hertfordshire’, আশা করা যাচ্ছে আগামী জানুয়ারী থেকেই এ দেশের জন্য বিরল এ Franchise Collaboration চুক্তি চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে। ফলে নর্দানের শিক্ষার্থীরা দেশে বসেই Distance Mode -এ অনলাইনে University of Hertfordshire-এর ডিগ্রী নিতে পারবে।

৩। OIC পরিচালিত International Islamic University Malaysia (Undergraduate, Postgraduate, Teacher and Admin Exchange Training সহ Joint Degree Collaboration for M.Phil and Ph.D.)

৪। University of Malaysia Perlis (Joint Degree Collaboration for M.Phil and Ph.D.)

৫। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (শিক্ষা, সংস্কৃতি উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় চুক্তি)

৬। Nantong College of Science and Technology (NCST), China (আগামী সেপ্টেম্বরে নর্দানের ১৪জনের ১ম গর্বিত ব্যাচ চীন সরকারের ১০০% স্কলারশীপ নিয়ে NCST-তে যাচ্ছে, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল ঘটনা।

৭। US Govt.-এর ‘American Center’ যা বাংলাদেশস্থ US Embassy কর্তৃক পরিচালিত যার মাধ্যমে এ দেশের শিক্ষার্থীরা আমেরিকায় উচ্চতর পড়াশুনার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাপোর্ট পেয়ে আসছে।

৮। বিশ্বখ্যাত IDP, Australia’র “IELTS Registration and Exam Center” এখন নর্দান ইউনিভার্সিটিতে, কোনো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রথম এ সুযোগ লাভ করেছে নর্দান।

তিনি মনে করেন শিক্ষা একটি শিল্প। তিনি এ শিল্পের বিকাশ সাধনে একটি revolution চান। এ লক্ষ্যে তিনি ইতিমধ্যেই গড়ে তুলেছেন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেগুলি স্বনামে ধন্য। শিক্ষাক্ষেত্রে পৃথিবীর বিখ্যাত বৃটেনের রাসেল গ্রুপ ইনস্টিটিউশন, পিয়ারসন গ্রুপ ইনস্টিটিউশন-কে অনুসরন করে বাংলাদেশেও একটি সর্ববৃহৎ Education Group গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি নিরলশ কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি হলো-

১। নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

২। নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এ- টেকনোলজি খুলনা

৩। নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ

৪। নর্দান কলেজ বাংলাদেশ

৫। নর্দান ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজ

৬। নর্দান নার্সিং ইনষ্টিটিউট

৭। নিউ ল্যাব ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল টেকনোলজি

৮। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল হায়ার স্টাডিজ

৯। নর্দান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ- কলেজ

১০। এনইউবি ল্যাবরেটরী স্কুল

তিনি বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির প্রবক্তা এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার এ যুগান্তকারী ঘোষণাকে যুযোপযোগী মনে করে নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যোগ্য অংশীদার হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ধাপে ধাপে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। পরিবেশ দূষণ এবং বনাঞ্চল রক্ষার্থে নর্দান ইউনিভার্সিটি ইতিমধ্যেই ৫০% কাগজের ব্যবহার কমানোর ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।

Corporate Social Responsibility -এর অংশ হিসেবে তিনি বেশ কয়েকটি প্রিন্ট এবং অনলাইল মিডিয়া পরিচালনার সাথে জড়িত রয়েছেন –

১। দৈনিক ভোরের পাতা (উপদেষ্টা সম্পাদক)

২। Daily Peoples Time (উপদেষ্টা সম্পাদক)

৩। BangladeshOnline24.com (Editor)

৪। “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস”-এর উপদেষ্টা (শিক্ষা বিষয়ক বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত পাক্ষিক)

৫। “বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা”-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি (শিক্ষা বিষয়ক বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত পাক্ষিক)

৬। “মাসিক শিক্ষাবার্তা”-এর উপদেষ্টা সম্পাদক (শিক্ষা বিষয়ক বাংলাদেশে বহুল প্রচারিত)

বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ড. আব্দুল্লাহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, রাশিয়া, লাটভিয়া, জাপান, ইতালি, জার্মানি, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, চায়না, সৌদি আরব, কাতার, আবুধাবি, দুবাই, বাহরাইন, ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। শিক্ষাবিদ থেকে শিক্ষা উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ের সাথে সম্পৃক্তি এবং সৃজনশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে সদা নিবেদিত প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ।

উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে আরো এগিয়ে নিতে এবং জেলার সামগ্রিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো: আবদুল্লাহ অঙ্গীকারবদ্ধ। মানুষ গড়ার কারিগর এই নেতা সৎ ও নির্লোভ এবং জনবান্ধব হওয়ায় তৃণমূলের নেতারা এ আসন থেকে আওয়ামীলীগের এমপি হিসাবে তাঁকেই দেখতে চাচ্ছেন। গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা, শুভেচ্ছা বিনিময় সহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোয় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এলাকায় হৈ চৈ পড়ে গেছে। তাই তৃণমূলের নেতারা ইউসুফ আব্দুল্লাহ সম্পর্কে যে মতামত প্রদান করেছেন তা নিম্নরুপ ….

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য মো: আব্দুল হান্নান (মন্টু) বলেন, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধের মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে ইউসুফ আব্দুল্লাহ শক্তিশালী করতে পারবেন। তাই, ইউসুফ আব্দুল্লাহ’র সার্বিক কর্মকান্ডের মূল্যায়ন করে তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে এ আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

আশাশুনি থানা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, সব সময় জনকল্যাণে কাজ করার জন্য এলাকার মানুষের কাছে প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো: আব্দুল্লাহ সমধিক সমাদৃত। তাই এলাকার উন্নয়নে এমন সৎ, মেধাবী ও উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন দেবে বলে প্রত্যাশা করি।

সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. গোলাম মোস্তাফা তাঁর অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, ইউসুফ আব্দুল্লাহ নিজ এলাকাতে এসে রাজনীতিতে অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেন। তাদের নিয়ে সভা সমাবেশে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের উন্নয়নমুখী রাজনীতি ও তাঁর সাফল্য এবং ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় আনার জন্য সমর্থন সৃষ্টিতে মাঠে কাজ করছেন।

তৃণমূলের নেতারা আরও বলেন, ইউসুফ আব্দুল্লাহ নির্বাচিত হলে আশাশুনি-দেবাহাটা-কালিগঞ্জ’র অফিস ও অন্যান্য সেক্টরগুলো পর্যায়ক্রমে হবে দুর্নীতিমূক্ত। নাগরিকদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পেশীশক্তি, মাস্তানী, অনৈতিক প্রভাব বলয় থেকে মুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তাই আমরা আপনাদেরকে অনুরোধ জানাই, স্বপ্নের আশাশুনি-দেবাহাটা-কালিগঞ্জ তথা সাতক্ষীরা গড়তে নৌকা মার্কায় ভোট দিন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)