তাহলে খুঁজে পাওয়া গেল এলিয়েন?

এলিয়েন কারা? ভিন গ্রহের প্রাণী? পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে যদি প্রাণের অস্তিত্ব থাকে, তাহলে তারাই হবে এলিয়েন৷ চলুন খুঁজে দেখি কোন কোন গ্রহে এমন প্রাণের অস্তিত্ব মেলার সম্ভাবনা আছে৷

দেখতে একেবারে পৃথিবীর মতো

গ্লীজ ৬৬৭সি নামের এই গ্রহটি আমাদের থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে৷ পৃথিবী থেকে সাড়ে চার গুণ বড়৷ বিজ্ঞানীরা এখনো জানেন না যে, এই গ্রহের উপাদান কী৷ তবে গ্রহটি দেখতে একেবারে পৃথিবীর মতো৷ তবে কি এখানেই মিলবে এলিয়েন?

এখানে পানি আছে

পৃথিবী থেকে ২০ দশমিক ৩ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান গ্লীজ ৫৮১ডি’র৷ এই গ্রহটিও একটি নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে৷ এটি পৃথিবীর চাইতে সাত গুণ বড়৷ এই গ্রহটিতে পানি আছে বলে ধারণা করা হয়৷

ছয়শ’ কোটি বছর পুরোনো

কেপলার ৪৫২বি গ্রহটি পৃথিবীর মতো এর সূর্যের কাছ থেকে অনেক দূরে৷ তাই এখানে প্রাণের অস্তিত্ব একেবারেই সম্ভব৷ আয়তনেও পৃথিবী থেকে কিছুটা বড়৷ বুড়ো এই গ্রহটির বয়স ছয়শ’ কোটি বছর৷ এর তাপমাত্রা এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে সেখানে পানি থাকা অসম্ভব নয়৷

সবচেয়ে সম্ভাবনাময়

কেপলার দূরবীক্ষণ দিয়ে এখন পর্যন্ত যেসব গ্রহ খুঁজে পাওয়া গেছে, তার মধ্যে কেপলার ১৮৬এফ গ্রহটিকেই প্রাণের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গ্রহ বলে মনে হয়েছে বিজ্ঞানীদের৷ এর আকার পৃথিবীর সমান৷ সূর্য থেকে নিরাপদ দূরত্বেও রয়েছে এটি৷ এর মধ্যে পাথর আছে৷ আছে সিলিকেট ও আয়রন৷ তবে এর সূর্য পৃথিবীর সূর্যের মতো অতটা উজ্জ্বল নয়৷

জল গ্রহ

পৃথিবী থেকে ৬০০ আলোকবর্ষ দূরের গ্রহ কেপলার ২২বি৷ কেপলার দূরবীক্ষণ কাজ শুরুর তিনদিনের মধ্যেই এই গ্রহটিকে খুঁজে পায়৷ বিজ্ঞানীদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই গ্রহটি পুরোপুরিই পানি দিয়ে ঢাকা৷ তাই একে জল গ্রহ বা ম্যারিন প্ল্যানেট বলেও ডাকা হয়৷

সৌরজগতের বহিরাঞ্চল

সৌরজগতের বহিরাঞ্চলে কেপলার দূরবীক্ষণ দিয়ে খুঁজে পাওয়া গ্রহদের মধ্যে কেপলার ৬২-তেই পানির উপস্থিতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷

কেপলার ৬২এফ

এই গ্রহটিও সূর্য থেকে খুব নিরাপদ দূরত্বে এবং এখানে পানিও আছে৷ পৃথিবী থেকে ১২০০ আলোকবর্ষ দূরে এর অবস্থান৷

আরেকটি জলমগ্ন গ্রহ

কেপলার ৬২ই নামে ডাকা হয় একে৷ এর আকারও পৃথিবীর মতো৷ আর এখানেও প্রাণের অস্তিত্বের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে৷ এর সমুদ্রেও প্রচুর পানি আছে৷

সুপার আর্থ

পৃথিবী থেকে ৭০ ভাগ বড় এই গ্রহটিকে সুপার আর্থ বলা হয়৷ পৃথিবী থেকে ২৭০০ আলোকবর্ষ দূরের এই গ্রহটির পরিবেশ অবশ্য শুক্রের মতো৷

কেপলারের কেরামতি

২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মাত্র চার বছরেই কেপলার দূরবীক্ষণ যন্ত্রগুলো পৃথিবীর মতো অসংখ্য গ্রহ খুঁজে বের করে ফেলেছে৷ বিখ্যাত জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইয়োহানেস কেপলারের নামানুসারে এর নাম দেয়া হয়েছে৷

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)