আশাশুনিতে সভাপতির হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্চিত
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদ জে বি নিন্ম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির হাতে নিগৃহীত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নিগৃহীত প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার ঢালী জানান, গত ২৪/৭/১৮ তাং অনুষ্ঠিত এসএমসি’র সভায় অভিভাবক সমাবেশ করার বিষয় নিয়ে আলোচনার পর সভাপতি সুব্রত কুমার মন্ডল খাতাপত্র দেখতে চান। তার কাছে রেজুলেশন, ক্যাশবই, দলিল ও চুক্তিনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্র দেওয়া হলে তিনি হঠাৎ করে খাতাপত্র নিয়ে বাইরে গিয়ে মিটিং মুলতবির কথা বলে দ্রুত বাড়িতে চলে যান। তার আকস্মিকতায় সবাই হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি (প্রধান শিক্ষক) নিজে দু’বার তার বাড়িতে খাতাপত্র আনতে যান কিন্তু দেননি। ফলে অভিভাবক সমাবেশ আহবান করা সম্ভব হয়নি। (বুধবার) দুপুর ১২.৩০ টার দিকে সভাপতি সুব্রত হঠাৎ করে কমিটির সদস্য প্রবীর বৈরাগী, রমেশ সরকার, মাসুদ বিশ্বাসসহ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে ঢুকে অভিভাবক সমাবেশ ডাকা হয়নি কেন? তার কৈফিয়ত তলব করেন। প্রাসঙ্গিক আলোচনার এক পর্যায়ে সভাপতি নিজ হাতে প্রধান শিক্ষককে সমারপিট করেন এবং “কাল থেকে স্কুলে আসবেনা, আসলে দেখে নেব” বলে হুমকী ধামকী দিয়ে চলে যায়। শিক্ষক সনাতন বৈরাগী, অমল মুখার্জীসহ অন্যরা ঘটনার সত্যতা শিকার করেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত সভাপতি সুব্রত কুমার মন্ডল জানান, “স্কুলের আয়-ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক দেননি। তাই খাতাপত্র নিয়ে নিজে দেখছি। আজকে (বুধবার) অভিভাবক সমাবেশ ডাকার কথা ছিল। কিন্তু ডাকেননি। কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিষয়টি জানতে গেলে কথা কাটাকাটি হয়েছে, তাকে মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। সদস্য প্রবীর বৈরাগী, রমেশ সরকার ও মাসুদ বিশ্বাস তার সাথে একমত পোষন করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জানান, ঘটনাটি জানার পর সমিতির সকল সদস্য ব্যথিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমারের সাথে কথা বললে তিনি পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামানকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করার পর ওসি (তদন্ত) সাথে সাথে দারোগা প্রেরন করেছেন বলে জানান এবং “আমরা সুষ্ঠু আইনগত প্রতিকার প্রত্যাশা করছি। ভবিষ্যতে কোন শিক্ষক অপমানিত না হয় সে ব্যাপারে আমরা সোচ্চার। প্রয়োজনে মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসূচি নিতে আমরা বদ্ধপরিকর” বলে জানান।