কাদাকাটিতে মাদরাসার নাম জালিয়াতি করে ছাত্র রেজিস্ট্রেশন!
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটিতে মাদরাসার নাম জালিয়াতি করে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর নাম রেজিস্ট্রেশন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
মাদারাসার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ জানান , কাদাকাটি দাখিল মাদরাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদরাসাটি খুব সুন্দর পরিবেশে ও ভালমানের পড়ালেখার মাধ্যমে চলে আসছিল। ইতিমধ্যে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী ও জেডিসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। ১৭০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে এ বছর মাদরাসা যথারীতি চলছিল। কিন্তু সরকার ইবতেদায়ী মাদরাসার ব্যাপারে আশাব্যঞ্জক কথা বলার পর থেকে মাদারাসার কিছু শিক্ষক এবং তাদের কিছু সহযোগী দাখিল মাদরাসা নিয়ে নানা দুরভিসন্ধি শুরু করেন। তারা দ্রুত সরকারি সহায়তা পাওয়ার হীনস্বার্থ নিয়ে চক্রান্ত করতে থাকলে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পার্শ্ববর্তী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলে যেতে থাকে। শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, আফছার আলি, সেলিনা খাতুন, মরিয়ম খাতুন ক্লাসে অমনোযোগী হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের অন্যত্র চলে যাওয়া আরও সহজ হয়ে ওঠে। কিন্তু তার পরও অন্য শিক্ষকদের কার্যক্রমে এখনো মাদরাসাটি টিকে আছে। এবার ঐ চক্রটি ভিন্ন চক্রান্তে মেতে উঠেছেন। তারা মাদরাসার নাম জালিয়াতি করে দাখিল মাদরাসার স্থলে ইবতেদায়ী মাদরাসা লিখে ১৩ জন ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে গোপনে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেওয়াতে শিক্ষা অফিসে রেজিস্ট্রেশনের জন্য জমা দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে গিয়ে সত্যতা পেয়ে প্রতিকারের জন্য আবেদন করেছেন। এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোসাঃ শামসুন্নাহার জানান, তাদের কাছে কাদাকাটি ইবতেদায়ী মাদরাসার নাম ব্যবহার করে তালিকা জমা হয়েছে। দাখিল মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ইউএনও বরাবর আবেদন করলে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দিলে মাদরাসার নাম সংশোধন করা যাবে।